পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পল্টন ময়দানে সিপিবি’র সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় ১০ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, নূর ইসলাম, মুফতি আব্দুল হাই এবং মুফতি শফিকুর রহমান। খালাসপ্রাপ্ত দু’জন হলেন, মশিউর রহমান এবং রফিকুল ইসলাম মিরাজ। রায়ের আগে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে কারাগারে থাকা চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আদালতের এজলাসে সকাল সাড়ে ১০টায় তাদের হাজির করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণাকালে আদালত এলাকায় বাড়তি নিরাাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ঘটনার ১৯বছর পর ঘোষিত হলো এ রায়। ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে সিপিবির সমাবেশে হামলা হয়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন দলটির নেতা হিমাংশু মন্ডল, আবদুল মজিদ, আবুল হাশেম এবং মুক্তার হোসেন। আহত হন ২০ জন। আহত হওয়ার ১৩ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস। যে তারিখে ঘটনা ঘটেছে একই তারিখ (২০ জানুয়ারি) রায় ঘোষিত হলো।
ঘটনার পরপর সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান বাদী হয়ে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছিলো পুলিশ। পরে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ও ২০০৫ সালের আগস্টে দেশব্যাপি সিরিজ বোমা হামলা হয়। এসব ঘটনায় জঙ্গিরা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়ার পর ফের এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। ৭ কর্মকর্তার হাত ঘুরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মৃণাল কান্তি। তদন্তকালে তিনি আসামি মুফতি মাঈনুদ্দিন শেখকে গ্রেফতার করেন। মাঈনুদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে জানান, এ ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদ (হুজি) জড়িত। অন্যদিকে আসামি মুফতি আবদুল হান্নান ২০০৬ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে জানায়, সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় তার দল হুজি জড়িত। দীর্ঘ পুনঃতদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট ও বিস্ফোরক মামলায় ৪ সেপ্টেম্বর ওই ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত। পরে শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। হত্যা মামলায় মোট ৪৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে মুফতি আবদুল হান্নান, মুফতি মাঈনুদ্দিন শেখ, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা মশিউর রহমান, আবদুল হাই, শফিকুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, নূরুল ইসলাম, মহিবুল মুস্তাকিম, আনিসুল মুরসালিন ও রফিকুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এছাড়া শেষের ৭ জন পলাতক ও বাকি ৫ জন কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকা ৫ আসামির সবাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।