পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। তিনি বলেন, এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। তাই আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করছেন। আদালত তার স্বাধীন বিষয়ে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য এই ধরনের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। গণমাধ্যমে বলার জন্য তো আর এই মামলা হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, আদালত স্বাধীন। কোথায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে আর কোথায় করবে না, সেটা আদালতের এখতিয়ারের বিষয়। তবে এটির সাথে কোনভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সম্পর্ক নেই। আবরার হত্যার ঘটনায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে শুক্রবার ১৭ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে ৪৭ বিশিষ্ট নাগরিক উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। ৪৭ বিশিষ্ট নাগরিক যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেটি বড় কোনো বিষয় নয়। এর বাইরেও হাজার হাজার বিশিষ্ট জন রয়েছেন। তারা তাদের বিবৃতি দিতেই পারেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো অবহেলাজনিত কারণে শিক্ষার্থী আবরারের মৃত্যুর পর সেটি যদি লুকানোর অপচেষ্টা করা হয়, একইসঙ্গে পোস্টমর্টেম ছাড়া যদি দাফন করা হয়, এগুলো নিশ্চয়ই অপরাধ। প্রথমত অবেহালাজনিত মৃত্যু, সেটির ইনভেস্টিগেশন চলছে। এরপর সেটিকে লুকোনোর চেষ্টা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের যারা আয়োজক ছিল, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। অভিযোগ সত্য-মিথ্যা সেটি ভিন্ন বিষয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, আর যারা দায়ী তাদের যাতে সঠিক বিচার হয় এজন্য আমি আশা করি, এই ৪৭ বিশিষ্ট নাগরিক আরেকটি বিবৃতি দেবেন।
প্রথম আলো সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও বিবৃতি দিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাউথ এশিয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শনিবার এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয়। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে বলতে চাই, তারা বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের জন্যও চেষ্টা করেছে। তাই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। ফিলিস্তিনে যেখানে পাখি শিকারের মতো মানুষ মারা হয় সেখানে তারা বিবৃতি দেয় না। ফলে তাদের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।