Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সাত বছরে ১০ কোটি ৬৫ লাখ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে

প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫৪ পিএম, ২৯ জুন, ২০১৬

সংসদে বাজেট বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং বাংলাদেশের প্রধানতম শ্রমবাজার মধ্যপ্রাাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও সরকারের ঐকান্তিক প্রয়াসের ফলে দেশে ও বিদেশে গত সাত বছরে প্রায় ১০ কোটি ৬৫ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এত কর্মসংস্থান অতীতে আর কখনো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে লোকটা মাদারীপুরে একজন কলেজ শিক্ষককে মারতে গিয়ে জনগণের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ল, তার জন্য খালেদা জিয়ার এত মায়াকান্না কেন? সম্প্রতি ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত ফাহিম সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরীর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশনের কার্যসূচি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক আগেই সন্দেহ করেছিলাম হঠাৎ গুপ্তহত্যা কেন? মাদারীপুরের জনগণ সাহসের সঙ্গে কলেজ শিক্ষকের ওপর আঘাতকারীকে ধরে ফেলল। পরে তাকে নিয়ে আরও লোকজন ধরতে গেলে সে ক্রসফায়ারে বা যে কোনো কারণে হোক মৃত্যুবরণ করেছে। তার জন্য খালেদা জিয়ার এত মায়াকান্না কেন, এটা আমার প্রশ্ন? তার মানে হাঁড়ির ভাত সেদ্ধ হচ্ছে কিনা, তা একটা টিপলেই বোঝা যায়। এ থেকেই বোঝা যায় গুপ্তহত্যার সঙ্গে তাদের একটা সম্পর্ক রয়েছে। প্রকাশ্যে মানুষ পুড়িয়ে তারা জনগণের রুদ্ররোষের শিকার হয়েছে। এখন গুপ্তহত্যা ঘটিয়ে তারা দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। তিনি বলেন, এ ধরনের হত্যাকা- যারাই ঘটাবে, তার বিরুদ্ধে অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগণের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের দায়িত্ব এবং আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন।
শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, রমজানের দিনে আমরা ইফতার অনুষ্ঠানে গিয়ে আল্লাহ এবং রাসূল (সা.)-এর নাম নিই। আর তিনি ইফতারে গিয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন গিবত গাওয়া, মানুষের বদনাম করা আর অসত্য কথা বলেন। এটাই হচ্ছে তার চরিত্র। এর বেশি আমি বলতে চাই না। জনগণ এর বিচার করবে।
প্রধানমন্ত্রী চলমান গুপ্তহত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকা- প্রসঙ্গে বলেন, আমরা সরকারে আসার পর সিদ্ধান্তু নিয়েছি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের স্থান এখানে হবে না। আর বাংলার মাটি ব্যবহার করে কেউ কখনো জঙ্গি তৎপরতা চালাতে পারবে না। এ ব্যাপারে আমরা শক্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে কিছু ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আগে সেনাবাহিনীর অনেকে সরকারপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন। তারা কিন্তু প্রতিরক্ষা বাহিনীর উন্নয়নের জন্য কিছু করেননি। তারা এই বাহিনী ব্যবহার করেছেন ক্ষমতা দখলের জন্য। আর আওয়ামী লীগ এসে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক যুগোপযোগী ও শক্তিশালী করেছে।
এর আগে বিরোধীদলীয় নেত্রী বাজেটের উপর বক্তব্য রাখেন। সে সময় তিনি বেশ কয়েকটি কবিতা পাঠ করেন। তার সেই কবিতার সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী অনেকগুলো কবিতা বলেছেন। সেজন্য তাকে আমি সাধুবাদ জানাই। শুধু একটা কবিতার ব্যাপারে আমি একটু কথা বলতে চাই। উনি বলেছেন, বুঝিগো আমি বুঝি এ ছলনা, কি তুমি বলিতে চাও আমি বুঝি না। এটা বোধ হয় উনি ওনার বাঁ দিকে যিনি বসে আছেন (এরশাদ) তার দিকে তাকিয়ে বললে ভালো হতো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমে বুঝতে পারিনি উনি কাকে বলছেন। আমি ভাবলাম এরশাদ সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বলছেন। আমি আশা করি এরশাদ সাহেব ভবিষ্যতে আর কোনো ছলনা করবেন না।
প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পড় হাসির রোল পড়ে যায় সংসদ অধিবেশনে। সংসদের উপস্থিত সকল সদস্য টেবিল চাপড়ে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সমর্থন জানান। বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরাও এ সময় হাসিতে মেতে ওঠেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার পূর্বের মেয়াদে জনগণের অভূতপূর্ব রায় নিয়ে এ সরকার গঠন করে। এ গণরায়ের ভিত্তি ছিলো রূপকল্প-২০২১ সালে দিন বদলের সনদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মসূচির প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন।
তিনি বলেন, যখন আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি, সারা বিশ্বে তখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছিল। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও মন্দা চলছিল। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়ার ফলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মসূচি গ্রহণ করি।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০১৫ সালের নমিনাল জিডিপি’র ভিত্তিতে বিশ্বে ৪৬তম এবং ক্রয়ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে ৩৪তম স্থান অধিকার করেছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার যেহেতু একটি রূপকল্প-২০২১ সামনে রেখে অগ্রসর হচ্ছে। সে কারণে তার দৃষ্টি কেবল এক বছরে সীমাবদ্ধ নয়। আওয়ামী লীগ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ পেরিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জনপদে পরিণত করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ শীর্ষক নির্বাচনী ইশতেহারে ২০১৪-তে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বের প্রথম সারির উন্নত দেশগুলোর সমপর্যায়ে উন্নীত করার রূপরেখা অঙ্কিত হয়েছে।
নির্ধারিত সময়েই পদ্মাসেতুর আশা প্রধানমন্ত্রীর
স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের সাহসী নেতৃত্ব ও দৃঢ় সিদ্ধান্তের ফলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে এবং আগামী ২০১৮ সাল নাগাদ এ সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া সম্ভব হবে।
তরিকত ফেডারেশনের এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ধরনের নাশকতা ও সহিংসতার সাথে জড়িত ও হুকুমদাতাদের আইনের আওতায় আনতে ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ আখতার জাহানের প্রশ্নে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা বা সন্ত্রাসী হামলা সংক্রান্ত মামলার রহস্য উদঘাটনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সফলতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে জনগণের মাঝে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
বিনিয়োগ আকৃষ্টে সরকার যথাসম্ভব কাজ করছে
জাতীয় পার্টির এমপি কাজী ফিরোজ রশিদের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টে সরকার সব সময় যথাসম্ভব কাজ করে যাচ্ছে এবং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার সব সময় যথাসম্ভব কাজ করে যাচ্ছে এবং এটি একটা চলমান প্রক্রিয়া।
প্রধানমন্ত্রী দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগ বোর্ড কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমগুলো তুলে ধরে বলেন, বিনিয়োগ প্রসার ও প্রচারের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। বিনিয়োগ বোর্ড বিদেশ হতে আগত সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বাস্তবায়নে সহায়তা করছে।
ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে ফ্রান্স, ইতালি, জার্মান, স্পেন, ইউকে, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, পর্তুগাল থেকে কৃষিভিত্তিক টেক্সটাইল, কেমিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড অ্যান্ড অ্যালাইড, লেদার প্রডাক্টস, পাওয়ার প্ল্যান্ট, নির্মাণশিল্প, ফার্মাসিউটিক্যালস, টেলিকমিউনিকেশন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বা যৌথ বিনিয়োগের নিশ্চয়তা ও আশ্বাস পাওয়া গেছে।
রফতানি পণ্যে উৎস ‘কর’ কমানোর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
প্রস্তাবিত বাজেটে উৎস কর শূন্য দশমিক ৮০ থেকে ১ দশমিক ৫০ করার কথা ছিল প্রস্তাবিত বাজেটে। সেখান থেকে কমিয়ে প্রধানমন্ত্রী শূন্য ৭০ করার প্রস্তাব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরের বাজেটে আমি পোশাক শিল্প, হিমায়িত পণ্য, পাটজাত পণ্যসহ সব রফতানি পণ্যের উপর থেকে উৎস কর শূন্য দশমিক ৭০ করার প্রস্তাব করছি। এছাড়া তথ্য-প্রযুক্তি খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট অবমুক্ত করার প্রস্তাব করেন প্রধানমন্ত্রী। পুঁজিবাজারকে আরো শক্তিশালী করতে ও উন্নয়নের জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শেয়ার বাজারের কারসাজি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কারণে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। কেউ কেউ বলছে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কারণে নাকি সুন্দরবনের পরিবেশের ক্ষতি হবে। তারা কী কারণে এ কথা বলছে সেটা বুঝতে পারছি না।
তিনি বলেন, কয়লা দিয়েতো পানি ফিল্টার করা হয়। পানি ফিল্টার করার সময়তো পরিবেশ নষ্ট হয় না। রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে পরিবেশ নষ্ট হবে কেন? যারা বলছেন যে, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের পরিবেশের ক্ষতি হবে তাদের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেন প্রধানমন্ত্রী।



 

Show all comments
  • Nasiruddin ৩০ জুন, ২০১৬, ৩:১২ এএম says : 2
    Desh er Manush e to 10 koti nai, Jara job korte pare. Tahole akhono amra bekar kano??
    Total Reply(0) Reply
  • Shohag ৩০ জুন, ২০১৬, ১২:৪৪ পিএম says : 2
    একটা পরিসংখ্যান করলে এটা আরো স্পস্ট হয়ে যাবে,যদি ৭ বছরে ১০ কোটি ৬৫ লাখ যদি নতুন কমসংস্থান হয়. তাহলে এর আগে চাকুরীজীবী ছিলো ৫ কোটি শিশু ২ কোটি ছাত্র ৫ কোটি = ১২ কোটি। আর ঐ ১০ কটি ৬৫ লাখ= ২২ কটি ৬৫ লাখ। এছাড়া বৃদ্ধ, গৃহিনী, বেকার যুবক তো আছেই। তাহলে বাংলাদেশে জনসংখ্যা কত?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাত বছরে ১০ কোটি ৬৫ লাখ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ