পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর চকবাজার থানার পোস্তা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কাউন্সিলর হাজী দেলোয়ার হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মিয়া গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আবদুর রহমান (২৯) নামে এক রিকশাচালক গুলিবিদ্ধসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহত অন্যরা হলেনÑ স্থানীয় কৃষক লীগের নেতা মামুন ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম গ্রুপের দেলোয়ার হোসেন মিয়ার ভাই। গতকাল বুধবার বেলা ৩টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়। হাজী দেলোয়ার হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত নির্বাচিত কাউন্সিলর। দেলোয়ার হোসেন মিয়া আওয়ামী লীগ সমর্থিত। তবে তিনি হাজী সেলিমের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।
চকবাজার থানার ওসি মো: শামীম অর রশিদ সংঘর্ষের বিষয়ে জানান, অল্প সময়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তবে কারা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, চকবাজার থানার পোস্তার ঢাল এলাকায় কাউন্সিলর হাজী দেলোয়ার ও দেলোয়ার হোসেন মিয়া গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ব্যাপক গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে কেল্লার মোড় এলাকায় এক রিকশাচালক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে পুলিশ নাকি সংঘর্ষকারীদের গুলিতে তিনি আহত হয়েছেন এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। তবে স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের চাঁদাবাজি ও দোকান নিয়ে বিরোধের জের ধরে গোলাগুলি এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রিকশাচালক আবদুর রহমানকে গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। আহত আব্দুর রহমান বলেন, আমি লালবাগ কেল্লার মোড় দিয়ে রিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় আমার পায়ে কী যেন এসে লাগল। এরপর রক্ত বের হয়।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন বলেন, এলাকায় মাদকের অবাধ বাণিজ্য হয়। ইয়াবা খায়, ইয়াবা বিক্রি করে। গত মঙ্গলবার তারাবির নামাজের পর এলাকাবাসীকে নিয়ে আমরা স্পটগুলোতে অভিযান চালিয়েছিলাম। মাদক ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কয়েকজনকে ধরে তাদের বাবা-মায়ের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। এর জের ধরে আজ (বুধবার) দেলোয়ার মিয়ার নেতৃত্বে ওই সব এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের লোকজনও পরে ওদের ধাওয়া দিয়েছে। এর মধ্যে আমি পুলিশকে ফোন দিয়েছি। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে। তারা চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছে।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়েছে কি না?Ñ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, আমার কোনো আধিপত্যের দরকার নেই। এলাকার মানুষ অভিযোগ করেছিল মাদক নিয়ে। তাই অভিযান চালিয়েছি। তবে হাজী সেলিমের লোক দেলোয়ার মিয়া তা করতে দিচ্ছে না।
এ বিষয়ে দেলোয়ার মিয়ার বক্তব্য জানার চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, স্থানীয় দুই দেলোয়ার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ কোনো গুলি চালায়নি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।