Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অগ্রণী ব্যাংকের এমডিকে অপসারণের সিদ্ধান্ত

প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিধি ভেঙে মুন গ্রুপ ও জয়নব ট্রেডিংকে ঋণ দেয়ার অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবদুল হামিদকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানির আইনের ৪৬ ধারায় আইন লঙ্ঘন ও আমানতকারীদের স্বার্থ-রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগও ওঠে সৈয়দ আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে। সে অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গভর্নর ফজলে কবির। এদিকে অপসারিত হওয়ার বিষয়ে আগে থেকে অবগত হয়ে সৈয়দ আবদুল হামিদ পূর্ব থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়ে বিদায়ী সংবর্ধনা আয়োজনের চাপ দেন। আজ (বৃহস্পতিবার) এই অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা ছিলো। অগ্রণী ব্যাংক থেকে সর্বশেষ পাওয়া সংবাদ অনুযায়ী এ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন কর্মকর্তারা।
সূত্র মতে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৯২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করায় শুনানি শেষে সৈয়দ আবদুল হামিদকে অপসারণের সুপারিশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্থায়ী কমিটি। তাতে গতকাল বুধবার বিকেলে অনুমোদন দেন গভর্নর। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে চিঠি দিয়ে তাকে অপসারণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। আজই তার শেষ কার্যদিবস ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছুটিতে আছেন বলে জানান। তবে শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গভর্নর অনুমোদন দিয়েছেন- এর অর্থ হলো অপসারণের সব প্রক্রিয়া শেষ। এখন শুধু চিঠি দেয়া বাকি। অফিস সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় কাল সকালে চিঠি যাবে।
এদিকে সৈয়দ আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে এফবিসিসিআই নির্বাচনে ব্যাংকের দুই পরিচালকের পক্ষে প্রচারণা চালানো, সানমুন গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারিতে সহায়তা ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের এক খেলাপি পরিচালকের তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গত বছরের ১০ জুলাই চাকরির মেয়াদ ১ বছর বাড়িয়ে নেন এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অগ্রণী ব্যাংকের এমডিকে অপসারণের সিদ্ধান্ত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ