পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পেনাং কারাগারে ৬০ প্রবাসী কর্মীর মানবেতর জীবন-যাপন
স্টাফ রিপোর্টার : মালয়েশিয়ার পেনাং প্রদেশের জুরু ক্যাম্পে ৬০ জন প্রবাসী কর্র্মী মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ আদালত কর্তৃক সাজা ভোগের পরেও বিমানের টিকিটের অভাবে দেশে ফিরতে পারছে না। গতকাল বুধবার গভীর রাতে পেনাং-এর প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহয়তায় ৫ জন দেশে ফিরেছে। মানব সম্পদ রক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শহিদুল ইসলাম কবীর এতথ্য জানিয়েছেন।
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশের কারাগারে বন্দি রয়েছেন অসংখ্য বাংলাদেশি। অবৈধভাবে মালয়েশিয়াতে প্রবেশসহ নানা কারণে তারা সাজা ভোগ করছেন এসব ক্যাম্পে (কারগার)। কিন্তু সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তারা দেশে ফিরতে পারছেন না টাকা বিমান টিকেটসহ নানা কারণে। মালয়েশিয়ার পেনাং প্রদেশের জুরু ক্যাম্পে এমন ৬০ জন বাংলাদেশি রয়েছেন, যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরেও দেশে আসতে পারছেন না।
জুরু ক্যাম্প থেকে এবার ২০ জন অবৈধ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসছেন পেনাং-এ অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতায়। প্রাথমিকভাবে বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় এই বিশজন থেকে নুরুল আলম, মো. লাবলু, মো. রানা সরকার, মো. লিটন এবং শ্রী মনি রাজ নামে পাঁচ বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন। এরা প্রত্যেকে সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরেও অর্থাভাবে বিদেশের মাটিতে কারাগারে ছিলেন। পেনাং থেকে প্রবাসী সংগঠনের নেতা আব্দুল নাকিব জানিয়েছেন, শুধু পাঁচজনই নয়, আগামী ১৩ জুলাই আসবেন আরও ছয়জন। পর্যায়ক্রমে বাকিরাও দেশে ফেরার এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। নাকিব পেনাং এ প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ইসলামিক কমিউনিটি অব বাংলাদেশ (পেনাং)-এর সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ পিপলস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক। যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোনে আবদুল নাকিব বলেন, এখানে অবৈধভাবে প্রবেশকারী বাংলাদেশিদের সাজা হয় দুই থেকে তিন মাস। কিন্তু সাজার বিষয়টি বাংলাদেশে স্বজনরা জানতে পারায়, তাদের কাছে বিমান টিকিট না থাকায়, কিংবা কখনও কখনও মালয়েশিয়াতে যেসব কোম্পানিতে কাজ করেছেন, সেসব কোম্পানি মালিকদের অসহযোগিতার কারণে বছরের পর বছর ধরে তারা সাজাভোগ করছেন। তাদেরকে বিনা অপরাধে জেলখানায় থাকতে হয়। জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপের ভিত্তিতে কাগজপত্র দাখিল করে এসব বাংলাদেশিদের আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিলে আমাদের পক্ষে সেটি নানা কারণেই সমস্যার সৃষ্টি করে, ইমিগ্রেশন থেকেও সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ, যারা দেশে ফিরবেন তাদের বিমানভাড়াসহ টাকাও দিতে হয়। সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে অনেকের পক্ষেই এটা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। তবে যারা এখানে বিত্তশালী বাংলাদেশি রয়েছেন তাদের অনেকেই এসব আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন। যেমন বাংলাদেশ পিপলস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাজী শামসুল একাই দায়িত্ব নিয়েছেন ১০ জন বাংলাদেশিকে বিমানভাড়াসহ যাবতীয় খরচ বহন করার।
আবদুল নাকিব বলেন, বাংলাদেশে ফেরত আসা পাঁচজনকে তারা বিমান টিকিট এবং প্রতিজনকে নগদ ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছেন, যাতে দেশে এসেই তাদের আর্থিক সংকটে না পড়তে হয়। আর ধীরে ধীরে সবাইকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।