Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র : রাস্তা সংকীর্ণ করে ফেলার কারণে

প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ অদক্ষ ড্রাইভার। এ ছাড়াও এর আরও বড় একটি কারণ রয়েছে আর তা হলো সংকীর্ণ রাস্তা। এ জন্য কয়েক শ্রেণির মানুষ স্পষ্টভাবে দায়ী। রাস্তায় গাড়ি রেখে এক ধরনের অসচেতন ড্রাইভার রাস্তাকে সংকীর্ণ করছে, সমাজের প্রভাবশালীরা বিল্ডিংয়ের কাজের মালামাল রাস্তায় রেখে রাস্তা সংকীর্ণ করছে, এমনকি একশ্রেণির ব্যবসায়ী রাস্তায় দোকানপাট বসিয়ে রাস্তা সংকীর্ণ করছে। যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে অস্বাভাবিক যানজট। এভাবে রাস্তা সংকীর্ণ করার কারণে সড়ক দুর্ঘটনার হার দিন দিন বেড়েই চলছে। এ জন্য দরকার সরকারি উদ্যোগ।
মো. আজিনুর রহমান লিমন
আছানধনী মিয়াপাড়া,
চাপানীহাট, ডিমলা, নীলফামারী

কোথায় নিরাপত্তা?
ত্রিশ লাখ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। শহীদের এই আত্মত্যাগের উদ্দেশ্য কী ছিল? নিশ্চয়ই ২০১৫ সালে ৩০ জন, ২০১৬ সালে ১৯ জন, গত ৫ দিনে ৪ জন, গত ১৭ মাসে ৪৯ জনের হত্যাকা- নয়। ভাবার বিষয় হচ্ছে, সব হত্যাকা-ের ধরন একই। তাই এটা আমাদের জন্য একটি আতঙ্ক। এই আতঙ্কে আমাদের জয় করতে হবে। আর পুলিশের পাশাপাশি জনসাধারণকে এর বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে আন্দোলন ও সচেতনতা তৈরি করতে হবে। আবার পুলিশ জনসাধারণকে অহেতুক হয়রানি করবে, এটা আমাদের কাম্য নয়।
মো. আরিফুল ইসলাম

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিওভুক্তি সম্পর্কে
গত ৭ জুন জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেট আলোচনায় বেসরকারি নন-এমপিওভুক্ত স্কুল/কলেজ এমপিওভুক্তি বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের ২৮ হাজার এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজের এক-তৃতীয়াংশ ভুঁইফোড় বলে উল্লেখ করেন। সে অনুযায়ী প্রায় নয় হাজার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অপ্রয়োজনীয়। মন্ত্রী মহোদয় আরো উল্লেখ করেন, ১৯৮৮ সালে নয় হাজার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত ছিল, এখন ২০১৬ সালে ২৮ হাজার হয়েছে। স্বীকার করি, বাংলাদেশে হাতগোনা কয়েকটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে যেগুলোতে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা এবং পাসের হার সন্তোষজনক নয়। সে জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় আইন আছে প্রয়োগ করবে; সমস্যা কী। কিন্তু হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কারণে ঢালাওভাবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একই পাল্লায় মাপা হবে, এটা কাম্য নয়। বর্তমানে এমন অনেক বেসরকারি (নন-এমপিও) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে যেখানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এত বেশি যে তাদের বসার জন্য প্রয়োজনীয় চেয়ার- বেঞ্চ নেই; অনেক কষ্ট করে শিক্ষার্র্থীরা লেখাপড়া করছে এবং পরীক্ষার ফলাফলও অনেক ভালো।
দীর্ঘ সাত বছর ধরে নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ বন্ধ। বর্তমানে পাঁচ হাজার নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এটাই শেষ, কেননা নতুন করে আর স্কুল-কলেজ রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হচ্ছে না। সেজন্য ভবিষ্যতে আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়েও উঠবে না। সুতরাং রেজিস্ট্রেশনভুক্ত এই পাঁচ হাজার নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনে তিন ধাপে এমপিওভুক্ত করা হোক-২০০০ সাল বা তার আগে থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত যেসব প্রতিষ্ঠান রেজি.ভুক্ত হয়েছে প্রথম পর্যায়ে সেগুলো। পরের বছর ২০০৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত যেসব প্রতিষ্ঠান রেজি.ভুক্ত হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ে সেগুলো। শেষ বছর ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যেসব প্রতিষ্ঠান রেজি.ভুক্ত হয়েছে সেগুলো। এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আলমগীর কবির
প্রভাষক (ইতিহাস ও সংস্কৃতি)
কামালেরপাড়া কলেজ, সাঘাটা, গাইবান্ধা।

কৃষি বুলেটিন চাই
আমি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা। এ অধিদপ্তরে তৃণমূল পর্যায়ে (গ্রামে) কর্মরত থেকে কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি কৃষকদের মধ্যে পৌঁছে দিয়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করাই আমার প্রধান কাজ। আমার মতো সারা দেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে ১৪ সহ¯্রাধিক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কর্মরত। বর্তমানে উপজেলা কৃষি অফিস এমনকি জেলা অফিস থেকেও আমাদের যে ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তা তেমন মানসম্মত নয়। তাছাড়া লেসনসিট ছাড়া মৌখিকভাবে দেওয়া এসব প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু সাধারণত আমরা ভুলে যাই। এর ফলে কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিতে আমাদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। অথচ আমাদের মতো উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের যদি নিয়মিত প্রযুক্তিবিষয়ক মুদ্রিত কৃষি বুলেটিন সরবরাহ করা হতো, তাহলে এমনটি হতো না। মোদ্দাকথা, কৃষি বুলেটিনের অভাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত আমরা ১৪ সহ¯্রাধিক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত। ফলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ব্লকে (কর্ম এলাকায়) বসবাসরত কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রযুক্তি বিস্তারের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ জন্য আমরা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মুদ্রিত কৃষি বুলেটিন চাই।
বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের নিমিত্ত বর্তমানে কৃষি উৎপাদনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে বাংলাদেশের কৃষি আজ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তাছাড়া কৃষি একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল বিজ্ঞান। পরিবর্তিত আবহাওয়া ও জলবায়ুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে এখন চলছে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কার্যক্রম। উদ্ভাবন করা হচ্ছে নব নব কৃষিপ্রযুক্তি। তাই কৃষিক্ষেত্রে উদ্ভাবিত এসব নতুন নতুন প্রযুক্তিসহ দ্রুত প্রচারের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সকল জেলা কার্যালয় (উপ-পরিচালকের দপ্তর) থেকে ‘মাসিক কৃষি সম্প্রসারণ বুলেটিন’ প্রকাশ হোক, যা দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

মো. রফিকুল ইসলাম
মনিরামপুর, যশোর।

শহীদ বুদ্ধিজীবীর স্মৃতিস্তম্ভ
মহান মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে অধ্যাপক আরজ আলী বর্তমান নেত্রকোনা সরকারি কলেজে দর্শন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। নেত্রকোনা জেলার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের ভাষ্যমতে ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন আঞ্চলিক সংগঠক। নেত্রকোনা জেলার বহু মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন তার প্রত্যক্ষ ছাত্র। মহান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের হাতে ১৯৭১ সালের ১৬ আগস্ট তিনি নিহত হন। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ কর্তৃক তার স্মরণে স্মারক ডাকটিকিটও প্রকাশিত হয়েছে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ তার স্মৃতির স্মরণে পুষ্পাকৃতি একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে। শহীদ পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে সম্প্রতি কলেজে গিয়ে দেখতে পাই যে, স্মৃতিস্তম্ভটি সম্পূর্ণ অরক্ষিত ও নামফলকবিহীন অবস্থায় পড়ে আছে। স্মৃতিস্তম্ভটির ঊর্ধ্বমুখী শীর্ষটি সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন এবং পাশের কটি পাপড়িও ভেঙে ঝুলে আছে। শহীদদের নামে স্ব কর্মস্থল ও এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্মারক স্থাপনা নির্মাণের জন্য নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কলেজের বর্তমান ব্যাপক বর্ধিত কলেবরেও শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আরজ আলীর নামে এ পর্যন্ত কোনো স্থাপনার নামকরণ করা হয়নি। এ অবস্থায়, যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদের পূণ্যস্মৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস ধরে রাখার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. রফিকুল ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি,
সুসং মহাবিদ্যালয়, দুর্গাপুর, নেত্রকোনা

কুমিল্লায় পল্লী বিদ্যুতের অনিয়মে অতিষ্ঠ গ্রাহক
কুমিল্লা জেলার তিন হাজার ছয়শ সাঁইত্রিশটি গ্রামজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুতের অনিয়মে অতিষ্ঠ বিদ্যুৎ-গ্রাহকরা। গ্রাহকদের অভিযোগ-মিটার রিডাররা মিটার না দেখে অফিসে বসে মনগড়া ইউনিট ও বিল তৈরি করে আসছেন। এতে করে মাস শেষে বিপুল পরিমাণ ইউনিট জমা থাকে। গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজন মতো অফিস, বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দিতে পারেন, কিন্তু অ্যাডভ্যান্স হাজার হাজার ইউনিটের কী উপায় হবে? কেনই বা সরকারি প্রতিষ্ঠানটি যেনতেনভাবে তাদের এমন ক্ষতি করল? বিষয়টি দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আবুল কালাম জুয়েল, আজিম উল্যাহ হানিফ
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিঠিপত্র : রাস্তা সংকীর্ণ করে ফেলার কারণে
আরও পড়ুন