Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হুয়াওয়ের ৫-জি’তে ১.৬ জিবিপিএস গতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:৩০ পিএম

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ প্রথমবারের মতো ৫জি অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেলো। গতকাল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা এই অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছে মেলার টাইটেনিয়াম সহযোগী ‘হুয়াওয়ে’। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ফেয়ার’-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। উদ্বোধনী পর্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকার জন্য ১৪টি শাখায় সম্মাননা দেওয়া হয়। মেলার তিন দিনে বিভিন্ন বিষয়ে ১৩টি আলোচনা সভা হবে, যেখানে সরকারের মন্ত্রী ও দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন। ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, ডাক মন্ত্রণালয়ের সচিব নূর উর রহমান, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেং জুন উপস্থিত ছিলেন।

২০১৮ সালের ২৫ জুলাই বাংলাদেশে ৫-জি সেবা পরীক্ষায় মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলো হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। তখন ৮০০ মেগাহর্স স্পেকট্রাম ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৪ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনেট গতি পাওয়া গিয়েছিলো। সেখানে এখন মাত্র ১০০ মেগাহর্স স্পেকট্রাম (গতবারের ৮ ভাগের এক ভাগ) ব্যবহার করেই প্রতি সেকেন্ডে ১ দশমিক ৪ জিবি থেকে ১ দশমিক ৭ জিবি পর্যন্ত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার করা সম্ভব হবে। দর্শনার্থীরা মেলার উদ্বোধনী দিনেই সেকেন্ডে ১ দশমিক ৬ জিবি গতিতে ডেটা ট্রান্সফারের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ৫জি’র অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণায় গত ১০ বছর কাজ করছে হুয়াওয়ে আর এর মধ্যেই এজন্য ব্যয় করেছে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন বলেন, প্রযুক্তিগত সুবিধাকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গত ২১ বছর ধরে এদেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি, টেলিকম অপারেটর ও স্থানীয় সহযোগীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এখন ৫-জি চালু হয়েছে এবং হুয়াওয়েও প্রস্তুত। ৫জি’র গবেষণা ও উন্নয়নে আমরা এক দশক ধরে কাজ করছি, যেখানে গত ১০ বছরে ব্যয় হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৫জি গবেষণা ও উন্নয়নে আমরাই শীর্ষস্থানীয় এবং ২১ হাজারেরও বেশি থ্রিজিপিপি ৫জি এনআর সমেত ৫-জি পেটেন্টও আমাদের সবচেয়ে বেশি। মেলায় আগত একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মিলন বলেন, এই মেলার আয়োজন একটি দারুন উদ্যোগ। আরও নতুন প্রযুক্তি আসলে আমাদের জীবনে কি প্রভাব পড়বে, কতটা সহজ হবে আমাদের জীবন , তার একটা ধারণা পেলাম এখানে। হুয়াওয়ে প্যাভিলিওনে আমি ৫জি উপভোগ করলাম। বুঝতে পারলাম, ভবিষ্যতে কতটা দ্রæত হবে আমাদের কাজ। আমরা সারাদেশে ৫ জি’র অপেক্ষায় থাকলাম।“

তিন দিনব্যাপী এই মেলা চলাকালে আগত দর্শনার্থীগণ হুয়াওয়ের প্যাভিলিয়নে সরাসরি ৫জি স্পিড ও লো- ল্যাটেন্সি অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। এছাড়াও আকর্ষণ হিসেবে থাকছে, বিশেষ একটি রোবট, যাকে হাতের ইশারায় পরিচালনা করে ফুটবল খেলা যাবে। ৫জি প্রযুক্তিতে কত দ্রæত হিউম্যান টু মেশিন কিংবা মেশিন টু মেশিন কমিউনিকেশন সম্ভব তা তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এই আয়োজন। পাশাপাশি আরও একটি প্লে-জোন থাকছে যেখানে সবাই ৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে রিয়েল-টাইম ভি-আর উপভোগ করতে পারবেন। ৫-জি ভি-আর পরার সাথে সাথেই অংশগ্রহণকারী নিজেকে খুঁজে পাবেন স্কিইরত অবস্থায়। উন্নত প্রযুক্তি এবং অডিও কিংবা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সরাসরি অভিজ্ঞতা দিতেই হুয়াওয়ের এই আয়োজন। থাকছে হুয়াওয়ের ৫জি স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ। দর্শনার্থীরা চাইলে কিনতে পাবেন বাজারে বর্তমান হুয়াওয়ের ফোনগুলোও।

মেলায় ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক বিনির্মাণে অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা এবং পরিবর্তিত বিশ্বে নতুন সভ্যতার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবটিক্স, বিগ ডেটা, বøকচেইন ও ফাইভ-জির বিস্ময়কর প্রভাব প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক কেবলে ফোন লাইন, ইন্টারনেট ও টেলিভিশন সংযোগ), মোবাইল অ্যাপ, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রদর্শিত হবে এ মেলায়। জেডটিই, হুয়াওয়ে, নকিয়া ও এরিকসন ফাইভ-জি প্রযুক্তির প্রদর্শন করছে মেলায়। ইন্টারনেট সেবাদাতাসহ (আইএসপি) ৮২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে।এতে ২৫টি স্টল, ২৯টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৮টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হুয়াওয়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ