পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পাসপোর্ট পেতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে গ্রহণেচ্ছুদের। নতুন পাসপোর্ট বা নবায়ন করা হলে, নির্দিষ্ট সময়ের দুই-তিন গুণ বেশি সময় পরে পাসপোর্ট মিলছে। অনেক ক্ষেত্রে এর বেশি সময়ও লাগছে। প্রতিদিন ঢাকা ও আঞ্চলিক অফিসগুলোতে হাজার হাজার আবেদনকারী ধরনা দিয়ে ফেরত যাচ্ছেন। প্রবাস থেকে এসে অনেকেই নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে থাকেন। কিন্তু সময় মতো পাসপোর্ট না পেয়ে তারা আছেন বিপাকে। অনেকের ভিসা, টিকেট নষ্ট হচ্ছে। এজন্য শিক্ষার্থী ও রোগীরাও সমস্যা পোহাচ্ছেন তীব্রভাবে। আঞ্চলিক অফিসগুলোতে পাসপোর্টের জন্য ধরনা দিতে দিতে, সেখান থেকে পাসপোর্ট গ্রহীতাদের ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। ঢাকার আগারগাঁওয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পাসপোর্ট পেতে ভিড় করছেন।
এ অবস্থায় একজন গ্রাহককে জরুরি ভিত্তিতে একটি পাসপোর্ট সাত দিনে এবং সাধারণভাবে ২১ দিনের মধ্যে দেয়ার কথা থাকলেও কেউই সময়মতো হাতে পাচ্ছেন না। তবে সহসাই কাটছে না পাসপোর্টের এ সঙ্কট। এবার সাধারণ আবেদনের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে দেরি করে পাসপোর্ট দেয়ার ঘোষণা দিল বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। গত মঙ্গলবার অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশে সহকারী পরিচালক শাহজাহান কবির এক অফিস আদেশে এ ধরনের ইঙ্গিত দেন।
আদেশে বলা হয়েছে ‘সম্প্রতি টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে পার্সোনালাইজেশন সেন্টারে পাসপোর্ট প্রিন্টিং বিলম্ব হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস থেকে সাধারণ (রেগুলার) আবেদনগুলো দ্রুত সময়ে অ্যাপ্রুভাল দিয়ে প্রিন্টের জন্য প্রেরণ করা হচ্ছে। এতে অতি জরুরি (এক্সপ্রেস) আবেদনের পাশাপাশি সাধারণ (রেগুলার) আবেদনগুলো জমা হয়ে কিউ বা সিরিয়ালে অনিষ্পন্ন থেকে যাচ্ছে এবং শিডিউল মেশিন (কম্পিউটার) বারবার অকেজো (হ্যাং) হয়ে পড়ছে। ফলে জরুরি এক্সপ্রেস ও ইমার্জেন্সি পাসপোর্ট সময়মতো প্রিন্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় পুনরায় আদেশ না দেয়া পর্যন্ত সাধারণ (রেগুলার) আবেদনগুলো এনরোলমেন্টের তারিখ (আবেদন করার তারিখ) হতে ৩০ দিন পরে অ্যাপ্রুভাল প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো’-যোগ করেন তিনি।
সাধারণত পুলিশ ভেরিফিকেশন ও সবকিছু ঠিক থাকলে আবেদনকারীরা ১৮-২০ দিনের মধ্যে পাসপোর্টের অ্যাপ্রুভাল পেয়ে যান। সে ক্ষেত্রে ২১ কার্যদিবসের পরবর্তীতে ছুটির দিন ব্যতিত ২২ কার্যদিবসের দিন পাসপোর্ট প্রদানের (ডেলিভারি) তারিখ দেয়া হয়। তবে ৩০ দিনের আগে অ্যাপ্রুভাল না দেয়ার সিদ্ধান্তে দুই মাসের মধ্যেও একজন আবেদনকারী পাসপোর্ট পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
গতকাল এক সাধারণ আবেদনকারী বলেন, ‘আমি গত নভেম্বর মাসের শুরুতে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলাম। ৬৩ দিন পর পাসপোর্ট হাতে পেয়েছি। আমার সঙ্গে পরিবারের যারা আবেদন করেছিল তাদেরও একই অবস্থা। এ সিদ্ধান্তের কারণে পাসপোর্ট পেতে আরও বিলম্ব হতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।