পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমু‚দ বলেছেন, খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, যতোটুকু না অসুস্থ তার চেয়ে বেশি বলে তাকে খাটো করা হচ্ছে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে মুজিববর্ষ পালন জনগণের কাছে কতটুকু পৌঁছবে! আমার সবিনয় প্রশ্ন- বঙ্গবন্ধুকে যে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, সেদিনটিকে যে বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা জন্মদিন পালন করে কেক কাটেন, তিনি এই মুজিববর্ষে কি অবদান রাখতে পারবেন? তিনি জেল থেকে মুক্ত হয়ে কি আবার ১৫ আগস্ট কেক কাটার সুযোগ চান?
বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা-অসুস্থতা নিয়েও বিএনপি ক্রমাগত অপরাজনীতি করছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, বেগম জিয়ার আর্থরাইটিস, হাঁটু ও কোমরের ব্যথা বহু পুরনো। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন, বিরোধীদলের ও বিএনপি’র নেতৃত্ব দিয়েছেন, এসমস্যাগুলো বয়সের সাথে বাড়ে। কিন্তু খালেদা জিয়া যতটুকু না অসুস্থ, তার চেয়ে বেশি অসুস্থ দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার যে অপচেষ্টা হচ্ছে, এতে বেগম জিয়াকেই বিএনপি মানুষের সামনে খাটো করছে। সরকার বেগম জিয়ার উত্তম চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে মাসের পর মাস রাখছে, তার ইচ্ছে অনুযায়ী একজন গৃহপরিচারিকা তার সাথে আছে এবং তাকে প্রতিদিন ডাক্তারেরা রুটিন চেকআপ এবং মাঝে-মধ্যেই মেডিক্যাল বোর্ড চেক-আপ করছে।
হাছান বলেন, এতকিছুর পরও বিএনপি’র কথা শুনলে মনে হয়, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের চিকিৎসকরা ডাক্তার নন, ডাক্তার হচ্ছেন মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব, মওদুদ সাহেব, ড: মোশাররফ সাহেব, তারা। কারণ, তারা বলছেন, বেগম জিয়ার অসুস্থতা না কি গোপন করা হচ্ছে! আসলে তিনি যতটুকু না অসুস্থ, তার চেয়ে অনেক বেশি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে বেগম জিয়াকে মানুষের সামনে খাটো করা হচ্ছে। বিএনপি’কে এই পথ অনুসরণ না করার অনুরোধ জানাই।
তথ্যমন্ত্রী এসময় গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, গণমাধ্যমকে শুধু রাজনৈতিক সংবাদের জন্যই উন্মুখ হয়ে থাকলে হবে না, দেশে আরো বহু বিষয় আছে, সেগুলোর দিকেও নজর ও গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। গণমাধ্যম যাতে জাতির বিবেক হিসেবে কাজ করতে পারে, সেই লক্ষ্য গণমাধ্যমকর্মীদের মনে রাখা প্রয়োজন।
স্বদেশ প্রতিদিন এর সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: ওয়াকিল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এ কে এম রহমতুল্লাহ এমপি, আকবর হোসেন পাঠান এমপি (চিত্রনায়ক ফারুক) ও ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, স্বদেশ প্রতিদিন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, স্বদেশ গ্লোবাল মিডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো: মজিবুর রহমান চৌধুরী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।