পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মৎস্য অধিদফতরের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এ তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী জাকিরসহ দু’জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন মৎস্য অধিদফতরের লাইসেন্সধারী ঠিকাদার মিজান। মামলার তথ্য এখনো জানে না মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ ইনকিলাবকে বলেন, এমন ঘটনা ঘটেছে আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের দুর্নীতির ঘটনা হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে আসামিদের অব্যাহত হুমকি-ধামকির কারণে ঠিকাদার মিজান ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন তার স্ত্রী। মিজানের স্ত্রী আফরোজা আক্তার জানান, তার স্বামী মিজানুর রহমান ঢাকা মৎস্য অধিদফতরের লাইসেন্সধারী ঠিকাদার। এ সূত্রে মৎস্য অধিদফতরের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী জাকির হোসেন ও তার আত্মীয় ডিউক মিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়।
একপর্যায়ে বড় বড় কাজ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রকৌশলী জাকির ও ডিউক ২০১৬ সালের ২৮ জুন থেকে পর্যায়ক্রমে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ৩৭ লাখ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন। এরপর মিজানকে ৮০টি টেন্ডারেও অংশগ্রহণ করায় জাকির। তবে তার একটি টেন্ডারও পায়নি মিজান। তাদের প্রতারণা বুঝতে পেরে মিজান টাকা ফেরত দেয়ার তাগিদ দেন। আফরোজার অভিযোগ, টাকা ফেরত চাইলে প্রকৌশলী জাকির তার স্বামীকে হত্যা, ডাকাতিসহ মামলায় ফাঁসানোর এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে গত ২ ডিসেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে মৎস্য অধিদফতরের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী জাকির ও ডিউকের বিরুদ্ধে মামলা করেন মিজান। মামলার পর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জাকির। তিনি মিজানকে হত্যার হুমকি দিতে থাকেন। এ কারণে মিজান পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
মিজানের আইনজীবী মাহমুদুর রহমান জানান, সিএমএম আদালতে সিআর মামলার আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন আমলে নিয়ে রমনা থানার ওসিকে মামলা গ্রহণ ও তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। রমনা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মুরাদ বলেন, একটি মামলা তদন্তের জন্য দু-তিন মাস সময় প্রয়োজন। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য অধিদফতরের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী জাকির হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, মিজানুর রহমান মিথ্যা মামলা করেছে। মিজানুর ও ডিউকের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছে। মামলায় আমাকে অহেতুক জড়ানো হয়েছে। তারা দুইজনেই আমার আত্মীয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।