পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাসপোর্ট হাতে পেতে ওমরাযাত্রীরা গলদঘর্ম। কাগজপত্র জমা দেয়ার দুই তিন মাস পরেও অনেক ওমরাযাত্রীর ভাগ্যে পাসপোর্ট জুটছে না। সময়মতো পাসপোর্ট না পাওয়ায় যাত্রীরা বিমানের টিকিট কেটেও ওমরাহ পালনের জন্য সউদী আরবে যেতে পারছেন না। এছাড়া ওমরাযাত্রীদের টিকিটের মূল্যও অস্বাভাবিক বাড়ছে।
পাসপোর্টের অভাবে ২০২০ সনের হজে চ‚ড়ান্ত নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হলেও ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। একাধিক হজ এজেন্সির মালিক এ অভিমত ব্যক্ত করেছে।
এদিকে, গত ১ জানুয়ারী থেকে সউদী সরকার ওমরার ভিসার মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স বাবদ ১৮৯ রিয়াল ধার্য করছে। এতে চলতি বছর ওমরাহ প্যাকেজের মূল্য আরো অতিরিক্ত সাড়ে চার হাজার টাকা বেড়েছে। সউদী সরকারের বাড়ানো মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স ১৮৯ রিয়ালের সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা অনেক ওমরাযাত্রী পরিশোধ করতে অনীহা প্রকাশ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ এক বছর যাবত পাঁচটি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। এতে সউদীসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে টিকিটের সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। এ সুবাদে এক শ্রেণির অসাধু ট্রাভেল এজেন্ট ওমরাযাত্রীদের টিকিটের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ রাখা এয়ারলাইন্সগুলো হচ্ছে, ইত্তেহাদ এয়ার, ওমান এয়ার, জেড এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ ও ফ্লাই দুবাই।
সাউদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স সাউদিয়া প্রতিদিন ঢাকা-জেদ্দা রুটে তিনটি ফ্লাইট চালু করে দেদারসে ওমরাযাত্রী পরিবহন করছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রতিদিন এ রুটে মাত্র একটি ফ্লাইট দিয়ে লেবারসহ ওমরাযাত্রী পরিবহন করছে। এতে ওমরাযাত্রীর ফ্লাইট সঙ্কট চরমে পৌঁছেছে। ঢাকা চট্টগ্রাম থেকে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক থার্ড ক্যারিয়ারগুলোও প্রতিদিন স্ব স্ব দেশের ট্রানজিট সুবিধা নিয়ে প্রচুর ওমরাযাত্রী পরিবহন করছে।
১৪৪১ হিজরীর ১ মুহাররম থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ওমরাযাত্রীরা সউদী আরবে যাওয়া শুরু করেন। গত ১৫ রবিউস সানি পর্যন্ত সউদী হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বিশ্বের ২০ লাখ ৩১ হাজার ৭৫১ জন ওমরাযাত্রীর মোফা ইস্যু করেছে। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫৪ জন ওমরাহ পালনের জন্য সউদী গেছেন এবং ১২ লাখ ২১ হাজার ৩০৪ জন ওমরাহ পালন শেষে নিজ নিজ দেশে ফিরেছেন। সউদী আরব থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
১৫ রবিউস সানি পর্যন্ত সউদী আরবে সর্বাধিক ওমরাযাত্রী গেছে পাকিস্তানের ৪ লাখ ১১ হাজার ১৪০ জন, ইন্দোনেশিয়ার গেছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৯৩ জন, ভারতের গেছে ২ লাখ ২১ হাজার ৯৫৬ জন, মালয়েশিয়ার ৯৭ হাজার ৭০৯, তুরস্কের ৬৫ হাজার ৮৩, মিসরের ৫৩ হাজার ৯৬২, বাংলাদেশের ৪৭ হাজার ৯৬২, আলজেরিয়ার ৪৫ হাজার ৯৫০, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২৯ হাজার ৫৪৪ এবং জর্দান থেকে ২৩ হাজার ৯২৬ জন।
২০১৭ এবং ২০১৮ সনে যেখানে ওমরার ভিসা করতে খরচ হতো মাত্র ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা, সেখানে ২০১৯ সালে তা ১৮ হাজার টাকা থেকে ১৯ হাজার টাকায় দাঁড়ায়। কাজী এয়ার ইন্টার ন্যাশনাল (প্রাঃ) লিঃ-এর সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, ওমরাহ ভিসার মূল্য বাড়ার কারণে অনেক যাত্রী ওমরায় যেতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
কোবা এয়ার ওমরাহ এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মাওলানা মাহমুদুর রহমান রাতে ইনকিলাবকে বলেন, পাসপোর্ট অফিসের ধরণা দিয়ে ওমরাযাত্রীরা ২/৩ মাসেও পাসপোর্ট হাতে পাচ্ছেন না। রাজশাহীর মঞ্জুরসহ তিন জন, কুমিল্লার জামাল, আব্দুল কাইয়ূম, সিরাজগঞ্জের তালহা নতুন পাসপোর্টের জন্য বিগত তিন মাস আগে কাগজপত্র অফিসে জমা দিয়ে পাসপোর্ট পাচ্ছেন না। এর ফলে অনেকেই ওমরায় যেতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।