পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনায় বিএনপির সুবিধা হয়েছে। কিন্তু অসুবিধায় পড়েছে আওয়ামী লীগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই কথা বলেন।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সিইসি আওয়ামী লীগ নেতাদের হয়ে কাজ করছেন। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইসির সিদ্ধান্ত হচ্ছে মন্ত্রী এমনকি এমপিরাও প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সংসদীয় গণতন্ত্রে অন্যান্য দেশে বিষয়টি এরকম নয়।
তিনি বলেন, ভারতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও যে সুযোগ-সুবিধা পান, সেগুলো বাদ দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। এমপিরা তো পারেনই। ইংল্যান্ডে মন্ত্রী এবং এমপিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। পৃথিবীর অন্যান্য সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে এমপি এবং মন্ত্রীরা সরকারি প্রটোকল এবং সুযোগ-সুবিধা বাদ দিয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ইসি’র নির্দেশনা বিএনপিকে সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের জন্য অসুবিধা হয়েছে। ইসি আমাদের উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রার্থীকে নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু বিএনপিকে নোটিশ দেয়নি।
তিনি বরেন, এই বিষয়গুলো যদি আমরা দেখি তাহলে দেখা যায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বা নির্বাচন কমিশনের যে কার্যক্রম এতে বিএনপি সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছে। বিএনপির যে বক্তব্য এটি তাদের বেলায় প্রযোজ্য। কিন্তু সিইসি’র বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে আওয়ামী লীগ অসুবিধাজনক অবস্থায় আছে।
বিএনপির সঙ্কট প্রধানমন্ত্রী সমাধান করতে পারবেন না : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের প্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘জাতি হতাশ হয়েছেন’ মন্তব্যের জেরে এক প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা মনে করে দেশের সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিক। তাদের দাবি হচ্ছে, সহসা আরেকটি নির্বাচন দেওয়া। এই দাবি কিন্তু জনগণের নয়, বিএনপির দাবি।
রাজনৈতিক সমস্যা দেশে নেই। রাজনৈতিক সমস্যা আছে বিএনপির মধ্যে। বিএনপির মধ্যে নেতৃত্বের দুর্বলতা এবং দিক নির্দেশনাহীন যাত্রা। এসব মিলিয়ে বিএনপির মধ্যে রাজনৈতিক সঙ্কট রয়েছে। বিএনপির রাজনৈতিক সঙ্কট তো প্রধানমন্ত্রী সমাধান করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় দেশের মানুষ খুশি হয়েছে। যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেটি যেমন বক্তৃতায় ব্যাখ্যা করেছেন, একইসঙ্গে দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান সেটিও বলেছেন। দুর্নীতি, অনিয়ম-অনাচারের বিরুদ্ধে যে অভিযান তিনি শুরু করেছেন, সেটি অব্যাহত থাকবে বলেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে দেশের মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছে এবং তারা খুশি হয়েছে। বিএনপি খুশি হতে পারেনি স্বাভাবিকভাবে। কারণ বিএনপির যে দাবি এবং প্রত্যাশা সেগুলো একান্ত নিজের। জনগণের বিষয় নয়। সে কারণে বিএনপি হতাশ হয়েছে।
এসময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব কামরুন নাহার, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার এবং ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীসহ ডিআরইউ’র অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।