পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভিসা প্রদান করা হলে বাণিজ্য সহজ হবে। বাংলাদেশে এখন চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে হেল্থ সেক্টরে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। থাইল্যান্ড যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে উন্নতমানের হাসপাতাল নির্মাণ করলে বাংলাদেশ সরকার সহায়তা প্রদান করবে।’- বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেছেন।
আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড দু’দিনব্যাপী জয়েন্ট ট্রেড কমিটির (জেটিসি) পঞ্চম সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে থাইল্যান্ডের বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে শুল্ক মুক্ত (ডিউটি ফ্রি) কোটা সুবিধা প্রয়োজন। ৩৬টি পণ্য থাইল্যান্ডে রফতানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য সুবিধা দেওয়া হলে উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়বে এবং বাণিজ্য ব্যবধান কমে আসবে।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে ৪৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ৯৫২ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, সামুদ্রিক মৎস্য ও অন্যান্য প্রাণিজ পণ্য, কাগজ ও কাগজের পাল্প, সাবান, প্লাস্টিক পণ্য এবং রাবার রফতানি করছে। বাংলাদেশের আরও অনেক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে থাইল্যান্ডে। রফতানি বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে থাইল্যান্ডে রফতানি বৃদ্ধি করা সম্ভব। থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশ ‘ওয়ান বেল্ড ওয়ান রোড’উদ্যোগের সদস্য। এতে উভয় দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লাভবান হবে।
উল্লেখ্য, বাণিজ্যমন্ত্রী ৩৬টি পণ্যের তালিকা থাই কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপিত বিষয়গুলো থাইল্যান্ড সরকার সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে সভায় জানানো হয়। থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন করবেন। উভয় দেশ কৃষি ও স্বাস্থ্য সেবা খাতে কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে একমত হয়েছে।
জয়েন্ট ট্রেড কমিটির পঞ্চম সভায় থাইল্যান্ডের পক্ষে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী জুরিন লাকসানানাওসিত নেতৃত্ব দেন। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমূল কোয়াওনি ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড জয়েন্ট ট্রেড কমিটির ৬ষ্ঠ সভা সুবিধাজনক সময় ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।