Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ছিলেন তাওহীদি জনতার অভিভাবক

প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্ববরণ্য আলেম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মাসিক মদিনা সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রহ.) স্মরণে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল গত রোববার মারকাজুল উলুম মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা শুয়াইব আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তামীম আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুল মুছাওয়ীর। বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে’র উপদেষ্টা আলহাজ শামছুজ্জামান চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে’র সহ-সভাপতি মুফতি আব্দুল মুন্তাকিম, মাওলানা আব্দুল মজিদ, আবু তাহের চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ, ট্রেজারার হাফিজ হুসাইন আহমদ বিশনাথী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি আবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় ওলামা দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সামিম, মাসিক আল-আহরার সম্পাদক মাওলানা সালমান, মাওলানা শেখ রোমমান, ইউকে জমিয়তের মিডিয়া সেক্রেটারি মুফতি সৈয়দ রিয়াজ আহমদ, ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি হাফেজ জিয়াউদ্দীন, অফিস সম্পাদক মাওলানা ফখরুদ্দিন বিশনাথী, মাওলানা জাকারিয়া, জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাকবুল আহমদ, মাওলানা খালেদ, ফুজেল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
দোয়া মাহফিলে বক্তরা মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের বর্ণাঢ্য জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, তিনি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত আলেম, তাওহীদি জনতার অভিভাবক ও মুরুব্বী এবং বিশ্ববিখ্যাত মনীষীদের একজন। খাঁটি দেশপ্রেমিক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী, মজলুম ও নির্যাতিত অত্যাচারিতদের পক্ষে জালেমের বিরুদ্ধে আপসহীন। নাস্তিক মুরতাদ এবং ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে সাহসী সিপাহসালার। তার বলিষ্ট লেখা ও কণ্ঠের সাহসী হুঙ্কারে জনসাধারণের মাঝে দ্বীনি জযবা ও প্রেরণা সৃষ্টি হতো। তিনি মুসলিম উম্মাহর যেকোনো সঙ্কটকালে কাÐারীর ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশের মুসলমানদের স্বার্থরক্ষা ও ভারতের সা¤প্রদায়িক উস্কানির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। টিপাইমুখে ভারতের বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে লংমার্চে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তিনি তাফসিরে মা‘আরিফুল কুরআন অনুবাদ করে মুসলিম জনতার মনের গভীরে স্থান করে নিয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন, রাজনীতি ও লেখালেখি সমানভাবে চালিয়ে গেছেন। তিনি একাধারে মাসিক মদিনার সম্পাদক, সিরাতে রাসূল (সা.)-এর গবেষক, বহুগ্রন্থ প্রণেতা, বিদগ্ধ সাহিত্যিক, বরেণ্য আলেমেদ্বীন, সত্যিকারের নায়েবে রাসূল।
বক্তারা মহান আল্লাহর দরবারে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ছিলেন তাওহীদি জনতার অভিভাবক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ