পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ভারতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে তা নিয়ে সব পক্ষ সন্তুষ্ট। শুধু তাই নয় রাজ্যের ভোটগুলোও ইভিএমের মাধ্যমে হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও একই পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে। সেখানে আমাদের দেশে ইভিএমের বিরোধিতা কেন তারা করছেন সেটির কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না। এর একটি উত্তর পাই সেটি হলো প্রযুক্তি নিয়ে অতীত থেকে বিরোধিতা করে আসছে তার ধারাবাহিকতা হলো ইভিএমে ভোটগ্রহণে বিরোধিতা করা। তারা শুধু ইভিএমএর বিরোধিতা করেন তা নয়, ব্যালটে ভোট হলেও নানান অভিযোগ উপস্থাপন করেন।’- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেছেন।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারের চলতি মেয়াদের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম কামরুণ নাহার উপস্থিত ছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি সব সময় প্রযুক্তির বিরোধিতা করে। খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিনামূল্যে সাবমেরিন স্থাপনের। তিনি বাংলাদেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবে এই কথা বলে বিনামূল্যের সাবমেরিন স্থাপন করার অনুমতি দেননি। পরবর্তিতে হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে আমাদের স্থাপন করতে হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় এবং তারা অনুধাবন করতে পেরেছেন জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। এটি অনুধাব করতে পেরে সেই আশঙ্কা থেকে তারা নানা অভিযোগের বাক্স এখন থেকে খুলে বসছেন। যাতে বলতে পারেন নির্বাচনের আগে নাচতে না জানলে উঠান যেমন বাঁকা হয়। এ ধরনের বক্তব্য তারা হাজির করতে পারেন সেজন্যই তারা এ ধরনের অভিযোগগুলো উপস্থাপন করছেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ড. কামাল হোসেন সবকিছুতেই সংবিধান নিয়ে আসেন। জামিন না হলে সংবিধান লঙ্ঘন। আরও কিসে কিসে তিনি সংবিধান লঙ্ঘনের কথা বলতে পারেন আমি জানি না। যেকোনো বক্তব্যে তিনি সংবিধান নিয়ে আসেন। খালেদা জিয়ার জামিন হওয়া না হওয়া এটি সংবিধানিক বিষয় নয়। এটি আদালতের বিষয়। খালেদা জিয়ার জামিন দেওয়ার এখতিয়ার সরকারের নেই। তার জামিন দেওয়ার এখতিয়ার হচ্ছে আদালতের। ড. কামাল হোসেন কী আদালতকে অভিযুক্ত করছেন সেটা আমার প্রশ্ন।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তার স্বাস্থ্য নিয়ে অপরাজনীতি আমরা আগেও লক্ষ্য করেছি। আমি আজও বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন খালেদার স্বাস্থ্য নিয়ে দলটি যে অভিযোগগুলো করেছে, সেগুলো আসলে সে রকম নয়। খালেদা জিয়া একজন বয়স্ক মানুষ। এ কারণে তার কিছু সমস্যা আছে। এর বাইরেও তার যে আথ্রাইটিসের সমস্যা এগুলো বহু বছরের পুরনো। বয়স বাড়লে এটাও বাড়ে। সেটি তার ক্ষেত্রে হয়েছে। তবে, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের চিকিৎসকরা প্রতিদিন তার চেকআপ করছেন। তারা সর্বোচ্চ যত্ন ও মেধা দিয়ে সেবা দিচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।