পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পলাশ মাহমুদ : একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ের ব্যয় বাড়ছে প্রায় ১০ গুণ। ফলে আদায়কৃত রাজস্ব (টোল) থেকে বার্ষিক প্রায় ৫০ কোটি টাকা লুটপাটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। টোল ব্যবস্থার পরিবর্তন করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লি. ‘সিএনএস লিমিটেড’ নামক বিতর্কিত কোম্পানির মাধ্যমে এ অর্থ লুটপাটের সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে। রাজস্ব আদায়ে বর্তমান ব্যয়ের চেয়ে নতুন এ প্রতিষ্ঠানটিকে প্রায় ১০ গুণ অর্থ পরিশোধের চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। আর প্রতিষ্ঠানটিকে এ সুবিধা দিতে সরকারের উচ্চ পর্যায় ও বিবিএ কর্মকর্তাদের একটি সিন্ডিকেট সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। সিএনএস লিমিটেড বিশ্বয়করভাবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট একাধিক বিভাগে রাজস্ব আদায়ের দায়িত্বে রয়েছে। ওইসব জায়গায় তাদের বিরুদ্ধে রাজস্বের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতুর শুরু থেকে (১৯৯৮ সাল) ৫ বছরের জন্য টোল অপারেটর নিয়োগ করে আসছে বিবিএ। সর্বশেষ ২০১০ সালে ইউডিএস নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে তার কর্মচারী ও অন্যান্য খরচ বাবদ মাসে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে বিবিএ। গত বছরের অক্টোবর মাসে তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ৬ মাসের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
জানা যায়, সিএনএস লিমিটেড বঙ্গববন্ধু সেতুতে টোল আদায়ের জন্য গত মে মাসে একটি প্রস্তাব জমা দেয়। ওই প্রস্তাবে সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য খরচ হিসেবে প্রতি মাসে আদায় হওয়া টোলের সাড়ে ১২ শতাংশ তারা দাবি করে। কিন্তু ইউডিএসকে যে অর্থ পরিশোধ করা হয় তার সাথে আদায়কৃত টোলের কোন সম্পর্ক নেই। হিসেব করে দেখা যায়, আদায়কৃত অর্থের অংশ হিসেবে পরিশোধ করা হলে তা হবে বর্তমান অংকের প্রায় ১০ গুণ।
এ বিষয়ে সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ‘সিএনএস প্রস্তাব জমা দিয়েছে। ওটা টেকনিক্যাল ইভ্যালুয়েশন কমিটি দেখবে। তারা সিলেক্ট করলে হবে। না হলে আমরা অন্যকারো থেকে প্রস্তাবনা নেব।’
সর্বশেষ গত মাসে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে ৩৫ কোটি ৮১ লাখ। সিএনএস’র প্রস্তাব অনুযায়ী সাড়ে ১২ শতাংশে আসে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। যা ইউডিএসকে পরিশোধকৃত অর্থের প্রায় ৯ গুণ। আর গত এক বছরে এ সেতু থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ৩শ ৬৫ কোটি টাকা। যার ১২ শতাংশ হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। কিন্ত বর্তমান হারে পরিশোধ করলে তা ৬ কোটির বেশি হবে না।
আবার সিএনএস’কে দায়িত্ব দিলে তারা বর্তমান অবকাঠামো ও প্রযুক্তি পরিবর্তন করে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান ব্যবহৃত প্রযু্িক্ত দিয়ে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে টোল আদায় করা হচ্ছে বলে সেতু বিভাগের এ খাতে নিয়োজিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাদের মতে, বর্তমানে মহাখালীর সেতু ভবনে বসে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়ের পুরো বিষয়টি সরাসরি ভিডিও দেখা যায়। তাই চুরির কোন সুযোগ নেই। কিন্তু এই প্রযু্িক্ত পরিবর্তন করলে চুরির সুযোগ তৈরি হবে। অন্যদিকে সিএনএস এর থেকে তাদের স্থাপিত নতুন প্রযু্িক্ত সেতু বিভাগ রেখে দিতে চাইলে তাদেরকে আবার সরকারি অর্থ হতে ১২৫ কোটি টাকা পরিশোধ করার শর্ত দেয়া হয়েছে।
সিএনএসের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি তার নাম উল্লেখ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু ওটাই যে ফাইনাল তা নয়। আরো অনেক প্রস্তাব হবে, যাচাই-বাছাই হবে তার পরে একটা বিষয় চূড়ান্ত হবে।’
ইউডিএস’র সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত এপ্রিল মাসে সেতু কর্তৃপক্ষের সেতু বিভাগ থেকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির জন্য এ একটি গোপনীয় সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। সেখানে বলা হয়, নতুন চুক্তির জন্য গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ও জুলাই মাসে দুই বার দরপত্র আহ্বান করা হয়। পরবর্তীতে গত মার্চ মাসে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বশেষ দরপত্রের প্রেক্ষিতে জমা পড়া আবেদনসমুহ যাচাই-বাছাই ও অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় ৬ মাস সময় প্রয়োজন। এ সময়ের জন্যই সিএনএফকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা চলছে।
এদিকে ইউডিএস এর বর্ধিত ৬ মাস সময়ও গত এপ্রিলে শেষ হয়েছে। ফলে গত মে মাসের প্রথম থেকে বৈধ কোন টোল আদায়কারী ছাড়াই চলছে বঙ্গবন্ধু সেতু। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিএনএসকে ১০ গুণ অর্থ দিয়ে ৬ মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন টোল আদায়কারীকে হিসেবে নিয়োগ দিতে চেষ্টা করা হচ্ছে। মূলত সিএনএসকে কাজ দেয়ার জন্য সেতু বিভাগের একটি সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে এই সংকট সৃষ্টি করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। চাকরির নিরাপত্তার জন্য কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি। তবে ওই সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ কাজ করছে বলে তারা জানান।
সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদের কাছে টেলিফোনে সিএনএসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে কোন কথা থাকলে অফিসে গিয়ে তার সাথে দেখা করতে বলেন।
সিএনএস নামক যে প্রতিষ্ঠানটিকে কাজ দেয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রভাব খাটিয়ে বেশিরভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজ বাগিয়ে নিচ্ছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর রাজস্ব আদায়ের কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে এসব খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। একই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত মেঘনা-গোমতী ও মোক্তারপুর মুন্সিগঞ্জ সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্বও তাদের দেয়া হয়েছে। এ দুই সেতুতে তাদের দায়িত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্তা করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এ দুই সেতু থেকে অর্থ আত্মসাত ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হলে শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হয়নি।
বিপুল রাজস্ব লুটপাটের প্রস্তুতিপলাশ মাহমুদ : একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ের ব্যয় বাড়ছে প্রায় ১০ গুণ। ফলে আদায়কৃত রাজস্ব (টোল) থেকে বার্ষিক প্রায় ৫০ কোটি টাকা লুটপাটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। টোল ব্যবস্থার পরিবর্তন করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লি. ‘সিএনএস লিমিটেড’ নামক বিতর্কিত কোম্পানির মাধ্যমে এ অর্থ লুটপাটের সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে। রাজস্ব আদায়ে বর্তমান ব্যয়ের চেয়ে নতুন এ প্রতিষ্ঠানটিকে প্রায় ১০ গুণ অর্থ পরিশোধের চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। আর প্রতিষ্ঠানটিকে এ সুবিধা দিতে সরকারের উচ্চ পর্যায় ও বিবিএ কর্মকর্তাদের একটি সিন্ডিকেট সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। সিএনএস লিমিটেড বিশ্বয়করভাবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট একাধিক বিভাগে রাজস্ব আদায়ের দায়িত্বে রয়েছে। ওইসব জায়গায় তাদের বিরুদ্ধে রাজস্বের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।বঙ্গবন্ধু সেতুর শুরু থেকে (১৯৯৮ সাল) ৫ বছরের জন্য টোল অপারেটর নিয়োগ করে আসছে বিবিএ। সর্বশেষ ২০১০ সালে ইউডিএস নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে তার কর্মচারী ও অন্যান্য খরচ বাবদ মাসে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে বিবিএ। গত বছরের অক্টোবর মাসে তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ৬ মাসের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।জানা যায়, সিএনএস লিমিটেড বঙ্গববন্ধু সেতুতে টোল আদায়ের জন্য গত মে মাসে একটি প্রস্তাব জমা দেয়। ওই প্রস্তাবে সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য খরচ হিসেবে প্রতি মাসে আদায় হওয়া টোলের সাড়ে ১২ শতাংশ তারা দাবি করে। কিন্তু ইউডিএসকে যে অর্থ পরিশোধ করা হয় তার সাথে আদায়কৃত টোলের কোন সম্পর্ক নেই। হিসেব করে দেখা যায়, আদায়কৃত অর্থের অংশ হিসেবে পরিশোধ করা হলে তা হবে বর্তমান অংকের প্রায় ১০ গুণ।এ বিষয়ে সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ‘সিএনএস প্রস্তাব জমা দিয়েছে। ওটা টেকনিক্যাল ইভ্যালুয়েশন কমিটি দেখবে। তারা সিলেক্ট করলে হবে। না হলে আমরা অন্যকারো থেকে প্রস্তাবনা নেব।’সর্বশেষ গত মাসে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে ৩৫ কোটি ৮১ লাখ। সিএনএস’র প্রস্তাব অনুযায়ী সাড়ে ১২ শতাংশে আসে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। যা ইউডিএসকে পরিশোধকৃত অর্থের প্রায় ৯ গুণ। আর গত এক বছরে এ সেতু থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ৩শ ৬৫ কোটি টাকা। যার ১২ শতাংশ হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। কিন্ত বর্তমান হারে পরিশোধ করলে তা ৬ কোটির বেশি হবে না।আবার সিএনএস’কে দায়িত্ব দিলে তারা বর্তমান অবকাঠামো ও প্রযুক্তি পরিবর্তন করে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান ব্যবহৃত প্রযু্িক্ত দিয়ে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে টোল আদায় করা হচ্ছে বলে সেতু বিভাগের এ খাতে নিয়োজিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাদের মতে, বর্তমানে মহাখালীর সেতু ভবনে বসে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়ের পুরো বিষয়টি সরাসরি ভিডিও দেখা যায়। তাই চুরির কোন সুযোগ নেই। কিন্তু এই প্রযু্িক্ত পরিবর্তন করলে চুরির সুযোগ তৈরি হবে। অন্যদিকে সিএনএস এর থেকে তাদের স্থাপিত নতুন প্রযু্িক্ত সেতু বিভাগ রেখে দিতে চাইলে তাদেরকে আবার সরকারি অর্থ হতে ১২৫ কোটি টাকা পরিশোধ করার শর্ত দেয়া হয়েছে। সিএনএসের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি তার নাম উল্লেখ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু ওটাই যে ফাইনাল তা নয়। আরো অনেক প্রস্তাব হবে, যাচাই-বাছাই হবে তার পরে একটা বিষয় চূড়ান্ত হবে।’ ইউডিএস’র সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত এপ্রিল মাসে সেতু কর্তৃপক্ষের সেতু বিভাগ থেকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির জন্য এ একটি গোপনীয় সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। সেখানে বলা হয়, নতুন চুক্তির জন্য গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ও জুলাই মাসে দুই বার দরপত্র আহ্বান করা হয়। পরবর্তীতে গত মার্চ মাসে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বশেষ দরপত্রের প্রেক্ষিতে জমা পড়া আবেদনসমুহ যাচাই-বাছাই ও অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় ৬ মাস সময় প্রয়োজন। এ সময়ের জন্যই সিএনএফকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা চলছে।এদিকে ইউডিএস এর বর্ধিত ৬ মাস সময়ও গত এপ্রিলে শেষ হয়েছে। ফলে গত মে মাসের প্রথম থেকে বৈধ কোন টোল আদায়কারী ছাড়াই চলছে বঙ্গবন্ধু সেতু। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিএনএসকে ১০ গুণ অর্থ দিয়ে ৬ মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন টোল আদায়কারীকে হিসেবে নিয়োগ দিতে চেষ্টা করা হচ্ছে। মূলত সিএনএসকে কাজ দেয়ার জন্য সেতু বিভাগের একটি সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে এই সংকট সৃষ্টি করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। চাকরির নিরাপত্তার জন্য কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি। তবে ওই সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ কাজ করছে বলে তারা জানান।সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদের কাছে টেলিফোনে সিএনএসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে কোন কথা থাকলে অফিসে গিয়ে তার সাথে দেখা করতে বলেন।সিএনএস নামক যে প্রতিষ্ঠানটিকে কাজ দেয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রভাব খাটিয়ে বেশিরভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজ বাগিয়ে নিচ্ছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর রাজস্ব আদায়ের কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে এসব খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। একই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত মেঘনা-গোমতী ও মোক্তারপুর মুন্সিগঞ্জ সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্বও তাদের দেয়া হয়েছে। এ দুই সেতুতে তাদের দায়িত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্তা করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এ দুই সেতু থেকে অর্থ আত্মসাত ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হলে শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।