এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারীরাও
আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। লিঙ্গ সমতার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিনটি
এই রমযানে পথশিশুদের একটি সাক্ষাৎকার নিব তাই দিনটি ঠিক করলাম ১০ই রমযান ,১৬ মে ।যথাদিনে পড়ন্ত বিকেলে একটি খাতা আর কলম নিয়ে বেরিয়ে পরলাম উদ্দেশ্য ইফতারের পূর্বমুহুর্তে পথশিশুদের একটু ইফতারের জন্য মানবিক আবেদনের দৃশ্যটি সুন্দর করে তুলে ধরা। আমি ওমর একুশের নিচের রাস্তা দিয়ে ক্যাফেটোরিয়ার সামনে নামলাম দুর থেকে দেখলাম একটি মেয়ে কিছু জটলাবাধা ছেলেমেয়েদের কাছে কিছু টাকা চাচ্ছে ,আমি মেয়েটিকে ফলো করলাম ততক্ষনে সে ক্যাফেট্ােরিয়ার দরজার সামনে এসে দাড়াঁল তার সাথে আরো কিছু শিশু এসে দাড়াল তারা ভেতরে ঢোকার ব্যর্থ চেষ্টা করলো এক ভদ্রলোক তাদেরকে বাধা দিল, ভেতরে বইয়ের ভাষায় ভদ্রলোকদের ইফতারের আয়োজন চলছে সেখানে ওরা ঢুকে পড়লে পরিবেশটা অশিক্ষিত হয়ে যাবে। এতক্ষণে আমি মেয়েটার চেহারা আয়ত্ব করে ফেললাম। মেয়েটির বয়স ১২ কি তেরো মুখটি ফর্সা গোল,চোখ দুটি বড় ভাসা ভাসা, চুলগুলো এলোমেলো কোকড়ানো, পড়নে একটি ময়লা জামা যা সন্ধ্যার গোধূলিতে আরো নোংরা দেখাচ্ছে। এবার আমি মেয়েটির পিছু নিলাম কারন এ মেয়েটির সাক্ষাৎরটিই আমি চাই। সে এবার হেটে গিয়ে এক আপুর কাছে বসলো আর তার ইফতারের আবেদন টি করলো কিন্তু এবারো সে ব্যর্থ হলো এবার আমার ক্যামেরার সাটারে ক্লিক পড়লো তার করুণাময় ছবিটি আমি তুললাম। এবার আমি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম তাকে ডেকে পাশে নিয়ে বসলাম প্রশ্ন করলাম কি নাম তোমার? বললো লিমা।
কোথায় থাক? সাভারে। বাবা কি করে ? ভাঙ্গায়ারির দোকানে কাজ করে। তোমার মা কি করে ? মা অসুস্থ, ঘরে থাকে। তুমি স্কুলে যাও না ? যাই, ব্রাকে।
কোন ক্লাসে পড়ো?
ফাইবে। এতক্ষণে আমার পাশে আরো ৪,৫ টি পথশিশু এসে ভির জমালো ভাবছিলো ওকে কিছু দিচ্ছি , এর ফাকে একশিশু বলে ফেললো আমাকে কেউ একটু শুটকি ভর্তা আর ভাতদিলে খেয়ে শেষ করে ফেলতাম ,সাথে সাথে লিমাও বললো তার প্রিয় খাবারের কথা ,একটু পাঙ্গাশের ঝোল হলে আমি পুরো এক পাতিল ভাত খেতে পারি।
আমার কথার সাথে সাথে ইফতারেরও সময় ঘনিয়ে আসছে, পাশ থেকে ইফতারের আলোচনার কথা শোনা যাচ্ছে, “রমজান মাসে যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে তাকে রোযাদারের সমান সওয়াব দেয়া হবে”।
এবার লিমার প্রশ্ন এগুলো লিখে কি করবেন? বললাম তোমাকেনিয়ে একটি গল্প লিখবো? তোমরা কয় ভাইবোন? তিন বোন, ভাই নেই। লিমার উত্তরের ভেতর একটু আক্ষেপ হয়তো ভাই থাকলে পরিবারের আয় একটু বেশি হতো। তুমি কত নম্বার? দ্বিতীয়, বড় বোন কি করে? ভাঙ্গায়ারি টোকায় তোমার ছোট বোন কি করে? ঘরে থাকে মার সাথে, তুম সকালে কি খেয়েছো? কিছু খাইনি, সকালে উঠে মক্তবে গেছি তারপর স্কুলে গেছি, বাসায় গিয়ে দেখি আম্মভাত রান্না করেনি তাই রাগ করে চলে এসেছি। এখানে কি খেয়েছো? এক আপু একটু জুস দিছিলো আর কিছু বিস্কুট । তোমার আম্মু আজ কি রান্না করবে? সরপুটি মাছ। মাছ কি তোমার বাবা কিনেছে?
না, আমি বাজার থেকে নরম মাছ চেয়ে নিয়েছিলাম।
এভাবেই কাটে পথশিশুেদর ইফতারী।
য় জ্ন্নাাতুল মুমিনা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।