Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুশাসনের অভাবে বিনিয়োগে স্থবিরতা

প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

প্রতিবছর গড়ে ৫৫৮ কোটি টাকা পাচার
হাসান সোহেল : দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে কঠিন সময় চলছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা রয়েছেন আস্থার সংকটে। কারণ সুশাসনের অভাব। এমনকি আইনের শাসন চললেও ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে প্রসার বাড়ায়। কিন্তু সুশাসনের অভাব এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের চরম দুর্বিষহ অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। এ কারণে শুধু দুর্নীতিবাজ, রাষ্ট্রের সম্পদ লুণ্ঠনকারীরাই নয়, ব্যবসায়ীদের মধ্যেও বিদেশে বিনিয়োগের প্রবণতা বাড়ছে।
প্রকৃত ব্যবসায়ীদের অনেকেই একদিকে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের অসহযোগিতা অন্যদিকে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ থেকে দূরে সরে আছেন। যদিও ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের ক্ষেত্রে অনেক কিছুই শিথিল থাকছে, তার পরও ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের ‘প্রাচুর্য’ থাকলেও ঋণ সরবরাহ কাক্সিক্ষত হারে হচ্ছে না। আর তাই বিনিয়োগ তো দূরের কথা, লোকজন ব্যাংকে টাকা রাখতেই ভয় পাচ্ছে। এ কারণেই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বিদেশের ব্যাংকগুলো বা বিনিয়োগের স্থান হিসেবে খুঁজে নিচ্ছে। এভাবেই প্রতিদিন দেশের অর্থ অবৈধ পথে বিদেশে চলে যাচ্ছে। প্রতিনিয়তই বাড়ছে এই অর্থ পাচার।
অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবসহ আইনি জটিলতা অর্থ পাচারের মূল কারণ। কর ফাঁকি, অবৈধ ও সন্ত্রাসী কর্মকা- এবং পাচারসহ নানাভাবে অর্জিত সম্পদের পরিমাণ বাংলাদেশে এখন ব্যাপক। আর এসবের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার স্বার্থে অনেকের পছন্দ দেশের বাইরের গ-ি। ফলে প্রতিবছরই দেশ থেকে পাচার হচ্ছে বিপুল অর্থ। অনেকে অর্থপাচারের পেছনে রাজনৈতিক অস্থিরতা বা অনিশ্চিয়তার কথা বলেছেন। সর্বোপরি সুশাসনের অভাবকে দায়ী করেছেন। তাদের মতে, এমনিতেই উদ্যোক্তাদের জ্বালানি সংকট, ঋণের উচ্চ সুদ হার ও অভ্যন্তরীণ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ব্যবসা করতে হচ্ছে, তারপরও আবার বিভিন্ন হয়রানি। আর পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারের যে ভূমিকা দরকার তাও নেই।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণা মতে, প্রতিবছর গড়ে ৫৫৮ কোটি হিসাবে গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৫ হাজার ৫৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। টাকার অঙ্কে যা ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে বাংলাদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে। এর বাইরে গত দুই অর্থবছরে সুইস ব্যাংকসমূহে বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। আবার মালয়েশিয়ায় ‘মাই সেকেন্ড হোম’ কর্মসূচিতে গত ১৩ বছরে ৩ হাজার ৬১ জন বাংলাদেশি অর্থ পাঠিয়েছেন।
গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটি (জিএফআই) প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে সিপিডির গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান এক প্রবন্ধে বলেন, বাংলাদেশ থেকে ক্রমান্বয়ে বিদেশে অর্থ পাচার বেড়েছে। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার ৫৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে। দেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৬৬ কোটি ডলার পাচার হয়েছে ২০১৩ সালে। ওই বছরে ১০০টি দেশের মধ্যে পাচারকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অবস্থান ৪০তম। গত ১০ বছরের হিসাবে প্রতিবছর গড়ে ৫৫৮ কোটি ডলার পাচার হয়েছে, যার ৮৮ শতাংশই হয়েছে আমদানি ও রপ্তানিতে মিথ্যা মূল্য ঘোষণা দিয়ে। ওই বছর (২০১৩) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সাড়ে ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। এছাড়া সিপিডি’র মূল প্রবন্ধে টাকা পাচারের কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়া পানামা পেপার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ২৭টি ব্যাংক হিসাবের কথা ওই পেপারে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী টাকা পাচার প্রসঙ্গটি নিয়ে বাংলাদেশের আরেকটু আগ্রহ প্রকাশ উচিত বলে মনে করে সিপিডি। টাকা পাচার রোধে আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় রক্ষা, অন্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার কথা বলেছে গবেষণা সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতাই অর্থ পাচারের অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, অর্থ পাচার কমাতে হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। দেশে বিনিয়োগ পরিবেশ আরও ভালো করতে হবে। একই সঙ্গে ‘আমি সব সময় মনে করি যদি বেসরকারি খাত বিনিয়োগ করতে উৎসাহী কম হয়, সেজন্য সরকারকে দায় নিতে হবে। সরকারকেই বিনিয়োগবান্ধবতা নিশ্চিত করতে হবে। সেই রকম নীতি-কৌশল নিতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেছেন, সুশাসনের অভাবই টাকা পাচারের মূল কারণ। বর্তমানে দেশে সর্বত্র সুশাসনের অভাব রয়েছে। এর ফলে দেশের প্রচুর পরিমাণ অর্থ অবৈধ পথে চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, অর্থপাচারের দুটি কারণ থাকতে পারে। একটি উন্নত দেশের দৃষ্টিভঙ্গি, আর অন্যটি আইনের শাসনের অভাব। প্রশ্ন হলো কেন অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে? আমার মনে হয়, কর ফাঁকি দিতে এই টাকা পাচার হচ্ছে না। মূলত বাংলাদেশে লোকজন টাকা রাখতে ভয় পায়, করের হার আরো কমানো হলেও পাচার বন্ধ হবে। অর্থ পাচার রোধে একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান গঠনের কথা বলেন তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দেশে মূলত বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের অপ্রতুলতা রয়েছে। শতভাগ বিনিয়োগ পরিবেশ থাকলে অর্থাপাচার হতো না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম টাকা দেশে রাখতে নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অর্থ পাচার রোধে নীতি-সহায়তা আধুনিকায়নের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি কেউ মনে করে জীবনের বা সম্পদের নিরাপত্তা নেই, তখন মানুষ বিদেশে টাকা পাচার করে। দ্বিতীয়ত, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ না থাকলে টাকা পাচার হয়।
সূত্রমতে, বিনিয়োগ আকর্ষণে কর অবকাশ সুবিধাসহ নানা উদ্যোগ রয়েছে। এর পরও বিনিয়োগেও চলছে স্থবিরতা। এর অন্যতম কারণ অনুমোদন থেকে শুরু করে ব্যবসা পরিচালনার প্রতিটি ধাপে বিনিয়োগকারীদের হয়রানি। যদিও এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী হলে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু অন্যদের জন্য সবকিছু ঠিক থাকলেও রয়েছে পাহাড়সম সমস্যা।
জানা যায়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি অফিসের প্রাথমিক অনুমোদন পেতেই দুই বছর লেগে যায়। কারণে-অকারণে পরিবেশ ছাড়পত্র নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে। আশ্বাস দিয়েও গ্যাস ও বিদ্যুৎ দেওয়া হয় না। সরকারি অন্যান্য সেবা পেতেও পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়। বিনিয়োগে আগ্রহী একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, বিনিয়োগকারীদের ওয়ানস্টপ সেবা দিতে পারলে উদ্যোক্তারা আগ্রহী হবেন। তা না করতে পারলে চিৎকার দিয়েও বিনিয়োগ বাড়ানো যাবে না।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমলের পুরনো অনেক আইন সংশোধন না করায় বিনিয়োগকারীরা হয়রানির শিকার হন। এসব আইনের কারণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অনেক বেশি। সরকারি নিয়ন্ত্রণ এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন উদ্যোক্তারা।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যবসা আরম্ভ করতে গেলে কত জটিলতা তা বিশ্বব্যাংকের ‘ডুয়িং বিজনেস’ প্রতিবেদন দেখলেই বোঝা যায়। এ সম্পর্কিত সব সূচকে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
বড় প্রতিষ্ঠান ঋণ পেলেও ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তারা ঋণ পেতে সমস্যায় পড়েন বলেও জানান বাংলাদেশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ড. বিনায়ক সেন। ফরেন চেম্বারের সভাপতি রূপালী চৌধুরী বলেছেন, গ্যাসের অভাবে শিল্প বসে আছে। বিনিয়োগ বাড়াতে সব জ্বালানি সমস্যা দূর করার কথা জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নেই। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে এ অবস্থার কোনো পরিবর্তনও হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা হলো, দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের মানোন্নয়ন হচ্ছে না। ফলে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসছেন না। এ ছাড়া রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরলেও অনিশ্চয়তা কাটেনি। ফলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের আস্থাহীনতা কাজ করছে। যার ফলে কেউ ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। সবার মধ্যে পুঁজি হারানোর আশঙ্কা কাজ করছে। ব্যাংকগুলোও বড় ধরনের বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ফলে ব্যাংক খাতেও অতিরিক্ত তারল্য বিরাজ করছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেছেন, একজন বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগ করতে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়। ঘুষ ছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যায় না। গ্যাস সংকট দীর্ঘদিন থেকে। গ্যাস না পেলে কীভাবে বিনিয়োগ হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলে কারখানার উৎপাদন কীভাবে হবে। তিনি বলেন, ব্যাংকে প্রচুর পরিমাণ মন্দ ঋণ আছে। তাই নতুন করে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে চাইছে না। এসব সংকটের কারণে বিনিয়োগের মন্দা পরিস্থিতি কাটছে না।
অবশ্য সম্প্রতি পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশে বিনিয়োগ কমছে, এটা সঠিক নয়। কারণ, বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট বিনিয়োগ জিডিপির ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। সিঙ্গাপুরে তা ২৫ শতাংশ এবং থাইল্যান্ডে ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ফলে প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বিনিয়োগে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, প্রতিবছরই জিডিপির আকার বাড়ছে। ফলে বিনিয়োগও বাড়ছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের সঙ্গে কর্মসংস্থানও আনুপাতিক হারে বাড়ছে। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের অর্জনের অন্যতম হলো মূল্যস্ফীতি। সরকার দায়িত্ব নেয়ার সময় মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ শতাংশ। সর্বশেষ রিপোর্টে তা ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামী অর্থবছরে তা ৫ দশমিক ৮ শতাংশে রাখার কথা বলা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ‘ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম ২০১৫-১৬’-এর তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে অলস অর্থের পরিমাণ দেড়গুণ বেড়ে আড়াই গুণে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে পুঞ্জীভূত খেলাপি ঋণ ও মূলধন ঘাটতি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০১৬ সালের মার্চ শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি (সোনালী, জনতা, রূপালী, বেসিক, অগ্রণী ও বিডিবিএল) বাণিজ্যিক ব্যাংকে অলস অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের মার্চ শেষে ব্যাংকগুলোতে অলস অর্থের পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে অলস অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৩১ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় দেড় গুণ বেড়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি অলস অর্থ রয়েছে সোনালী ব্যাংকে। এ ব্যাংকে অলস অর্থের পরিমাণ হচ্ছে ২৭ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।
এদিকে গত এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ হাজার ৭৩৫ টাকা। চলতি ২০১৬ সালের মার্চ শেষে ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের পুঞ্জীভূত খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৭২ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের মার্চ শেষে আলোচ্য ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। এছাড়া এই সময়ে মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ৭৫৯ কোটি টাকা। চলতি ২০১৬ সালের মার্চ শেষে অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি (সোনালী, জনতা, রূপালী, অগ্রণী, বেসিক ও বিডিবিএল) ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ৭৫৯ কোটি টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুশাসনের অভাবে বিনিয়োগে স্থবিরতা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ