পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় একটি নির্মাণাধীন মসজিদ থেকে মুসল্লিদের টেনেহিঁচড়ে বের করে দিয়েছে পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণাধীন এ মসজিদে কোনো ধরনের কাজ না করার জন্যও নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় থানা পুলিশ। কালীচরণ রোডের ৩১ নম্বর হোল্ডিংস্থ নির্মাণাধীন এ মসজিদকে ঘিরে সেখানে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ চলে যাওয়ার পর মুসল্লি নারী-পুরুষ মসজিদে ফের অবস্থান নিয়েছে। ভারী যান যাতে চলাচল না করতে পারে এজন্য রাস্তার দু’ধারে বাঁশ দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কালীচরণ রোড কিংবা মিলব্যারাক এলাকায় ৪টি মন্দির থাকলেও একটিও মসজিদ নেই। তাই ওই মসজিদ নির্মাণে যে কোনো ধরনের বাধা তারা প্রতিহত করবেন। গে-ারিয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেছেন, ১ বছরের লিজ নেয়া সরকারি জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করার বিধান নেই। এছাড়া অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের বিষয়ে উল্লেখ করে সেখানের স্থানীয় পূজা কমিটির সভাপতি এ ব্যাপারে গে-ারিয়া থানায় জিডি ও ডিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বহুতল ভবন নির্মাণে নিষেধ করেছেন। কাউকে নির্যাতন করা হয়নি।
গতকাল বিকেল তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের ভেতরে মুসল্লিরা অবস্থান করছেন। আর বাইরে সরু রাস্তায় রয়েছে স্থানীয় কয়েকশ’ মানুষ। সেখানে কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা নাজিবুর রহমান জনি, এমদাদ হোসেন, ফরিদ মিয়া, মশিউর রহমান, বয়োবৃদ্ধ কাশেম আলীসহ অনেকের সাথে।
নাজিবুর রহমান বলেন, নির্মাণাধীন মসজিদের জায়গাটি সরকারি সম্পত্তি। পাশে রয়েছে মিলব্যারাক সমাজকল্যাণ সংঘ নামে একটি ক্লাব। এখন যেখানে মসজিদ তৈরি করা হচ্ছে তার লিজি মালিক তিনজন। তাদের অনাপত্তি থাকায় সেখানে মসজিদ করা হয়। আগেও সেখানে নামাজ পড়া হতো। এক মাস ধরে মসজিদটির নির্মাণকাজ চলছে। এরই মধ্যে গতকাল পুলিশ এসে মসজিদ থেকে মুসল্লিদের বের করে দেয়। পুলিশ অস্ত্র বের করে অনেককে ভয়-ভীতি দেখিয়েছে। তিনি বলেন, এলাকায় ৪টি মন্দির রয়েছে, অথচ একটিও মসজিদ নেই। তাই তারা এখানে যেকোনোভাবে মসজিদ করবেন।
এ ব্যাপারে গে-ারিয়া থানার ওসি বলেন, অর্পিত সম্পত্তির মালিক সরকার, যা রক্ষণাবেক্ষণ করেন জেলা প্রশাসক। যেখানে মসজিদ করা হচ্ছে, সেখানে মোট সম্পত্তির পরিমাণ দুই কাঠা। এর ইয়ারলি লিজি মালিক ৩ জন। অস্থায়ী লিজের জায়গায় স্থায়ী ভবন করার বিধান নেই। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণের অভিযোগে সেখানকার একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ও পূজা কমিটির সভাপতি এ বিষয়ে থানায় জিডি করেছেন। গতকাল স্থানীয় ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেখানে মসজিদের নামে বহুতল ভবন করতে বারণ করেছেন। তিনি আরো বলেন, মসজিদের নাম করে স্থানীয় একটি চক্র সুবিধা নিতে চাচ্ছে। তারাই পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।