পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সান্তাহার পৌর শহরে সরকারি অফিস ঘেঁষে পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন অমান্য করে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ ইটভাটা। ভাটার গ্যাস, কালো ধোঁয়া, জ্বলন্ত কয়লা ও কাঠের গুড়া উড়ে পরে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ।
এ ছাড়াও এলাকার গাছপালা ও আশপাশের জমির ধান শাকসবজি এবং সবধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বিভন্ন স্থান থেকে ফসলী জমির মাটি কেটে আনা হচ্ছে এ ভাটায়। এতে জমির উর্বরতা শক্তি কমে ধানসহ সবধরনের ফসলের ফলন বিপর্যয় ঘটছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক। ইটভাটার কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টরগুলোর অবাধ চলাচলে শহর ও এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো খানাখন্দকে পরিণত হয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে রাস্তায় যানবাহন চলাচল করছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। রাস্তার ওইসব খানাখন্দকের কারনে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা করা হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এ ইটভাটায় এলাকাবাসি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদফতর নিরব ভূমিকা পালন করছে।
জানা যায়, সান্তাহার পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ অফিস ঘেঁষে একটি মাজার সংলগ্ন স্থানে দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবেশ অধিদফতরের আইন অমান্য করে বিশাল এলাকা নিয়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে বাবলু ইটভাটা। পরিবেশ আইনে শহরে ইটভাটা তৈরি করার কোন বিধান না থাকলেও বছরের পর বছর ধরে চলছে এ ভাটা। এতে এলাকার পরিবেশ মারাত্মক খতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এছারাও একই মালিক উল্লেখিত ভাটার পার্শ্বে তিলকপুর সড়কের ধারে সরকারি আইন অমান্য করে আবাদি জমির ওপর অপরিকল্পিতভাবে বাবলু নামে অপর একটি ইটভাটা গড়ে তুলে বছরের পর বছর ধরে ইট পোড়ানোসহ ভাটার সকল কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। সান্তাহার বিদ্যুৎ অফিসের জনৈক কর্মকর্তা জানান, অফিসের পার্শ্বেই ভাটা হওয়ায় এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সান্তাহার পৌরমেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন পৌর এলাকা থেকে ইটভাটাগুলো সরিয়ে নেয়ার নোটিশ এবং ট্রেড লাইন্সেস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পৌর এলাকায় ইটভাটা তৈরির অনুমোদন পরিবেশ অধিদফতরও দেয়ার কথা নয়। কিভাবে এসব ইটভাটা চলছে পরিবেশ অধিদফতর বলতে পারবে। এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ জানান, শহরের ভিতরে ইটভাটা চলছে আমার জানা নেই। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।