পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধরলার পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত
শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে : থেমে থেমে বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমারসহ সব ক’টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চর ও দ্বীপ-চরের নি¤œাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সদর উপজেলার যাত্রাপুর, নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া, নারায়ণপুর, উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ, চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট, রানীগঞ্জসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এসব এলাকার কাঁচা রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। হাতে কাজ না থাকায় বিপাকে পড়েছে দিনমজুর শ্রেণীর মানুষজন। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের তিন হাজারীর চরের ইছব আলী জানান, এবার আগাম বন্যা শুরু হয়েছে। বাড়ির চার দিকে পানি উঠছে। নদীর পানি বাড়তে থাকলে ঘরোত পানি ঢুকবে। যাত্রাপুর ইউনিয়নের কালির আলগা চরের সুলতান জানান, বন্যায় চরের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। গরু-বাছুর ও বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে খুব সমস্যায় আছি। বর্তমানে কাজও চলে না।
সদর পাঁচগাছী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মাস্টার বলেন, হঠাৎ বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় আমার ইউনিয়নে সবজি চাষি কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় ফসলও ঘরে তুলতে পারেনি। এছাড়া ধরলা নদীর তীরবর্তী কদমতলা এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ভাঙন ঠেকাতে বিনীত অনুরোধ করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মাহফুজুর রহমান জানান, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে আমরা জরুরি ভিত্তিতে বাঁশের বান্ডেল ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর কাজ করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।