পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা ‘মিম’ নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ও আকবরউদ্দিন ওয়াইসি’রা গরুর গোশত খাওয়া বন্ধ না করলে তাদের নাম নিশানা মুছে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিং লোধ।
গত শুক্রবার তেলেঙ্গানার ওই বিধায়ক ‘হিন্দু জনজাগৃতি সমিতি’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই মন্তব্য করেন। টি রাজা সিং বলেন, যদি তেলেঙ্গানাতে গরুর গোশত বন্ধ করা না হয় তাহলে টিআরএস সরকার এবং গরুর গোশতভোজী লোক উভয়েরই অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে। রাজা সিং বলেন, ‘যদি ‘তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি’ সরকার কসাইখানা বন্ধ না করে তাহলে সে সব ধংস করে দেয়া হবে।’ তার মতে, ওই সব জায়গায় অবৈধভাবে গরু হত্যা করা হয়।
বিজেপির এই বিধায়ক বলেন, ‘আকবরউদ্দিন ওয়াইসি হোক বা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি অথবা ‘মিম’ এবং টিআরএস সরকার হোক আমি তাদের গরুর গোশত খাওয়া বন্ধ করতে এবং কসাইখানা বন্ধ করার জন্য হুঁশিয়ারি দিচ্ছি। যদি তা না হয় তাহলে সময় এলেই গরুর গোশতভোজী এবং সরকার উভয়েরই নাম নিশানা মিটিয়ে দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘একদিকে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী (কে চন্দ্রশেখর রাও) গরু পুজো করছেন, অন্যদিকে, তার ছেলে যিনি মন্ত্রী কসাইখানার উদ্বোধন করছেন। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে চাই, সমস্ত অবৈধ কসাইখানা এবং সরকারি কসাইখানায় গরু হত্যা বন্ধ করুন। যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে সমস্ত কসাইখানাকে জ্বালিয়ে খাক করে দেয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ তার দল শাসিত সমস্ত রাজ্যে গরু জবাইকারী কসাইখানা বন্ধ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও গোয়াতে বিজেপি সরকার থাকা সত্ত্বেও গরু জবাই বন্ধ হয়নি। তিনি একে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেন। প্রসঙ্গতঃ, গতবছর মার্চেই গোয়ার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পারসেকার সাফ জানিয়ে দেন ‘রাজ্যে গরুর গোশত বিক্রি এবং খাওয়ায় কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না। কারণ এটা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের দলকে রাজ্যে খ্রিস্টান এবং মুসলিমদের আস্থা অর্জন করতে বহু বছর লেগেছে। এমতাবস্থায় গরুর গোশতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করতে চাই না।’ তিনি বলেন, গোয়ায় ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘু জনসংখ্যা রয়েছে, গরুর গোশত তাদের খাদ্যের অংশ। আমরা এতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারব না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।