পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে যাওয়ায় বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে হবে বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে যে সুবিধা বাংলাদেশ পেয়ে আসছে তার ব্যত্যয় ঘটবে না বলেও আশা করেন তিনি। গতকাল রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দফতরগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেক্সিট অর্থাৎ যুক্তরাজ্য বেরিয়ে যাওয়ার জন্য যে গণরায় হয়েছে তাতে আমাদের সামনে নতুন পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে। এসব ব্যাপারেও আমাদের অনেক করণীয় আছে। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। আমরা আন্তর্জাতিক বিশ্বে যে পণ্য রফতানি করি তার ৫৪ শতাংশ, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানি করি। অস্ত্র ছাড়া সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকি। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের রফতানির তৃতীয় গন্তব্যস্থান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম, জার্মানি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় যুক্তরাজ্য। নতুন সিদ্ধান্তের কারণে আমাদেরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে নতুন করে আবারও আলোচনা করতে হতে পারে। মন্ত্রী বলেন, ইইউ থেকে যে সুবিধা পেয়ে থাকি বা পাচ্ছি তা অব্যাহত থাকবে বলেই আমার কাছে প্রতীয়মান। কারণ যুক্তরাজ্যের সাথেও আমাদের ভালো সম্পর্ক। সুতরাং যে সুবিধা পাই এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। তবে কঠিন একটা অবস্থায় পড়বে আমাদের যারা রফতানিকারক তারা। ইতোমধ্যে ইউরোর মান কমেছে। রফতানি করে যেটা ১১৮ টাকা পেতাম সেটা এখন ৭০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারের ব্যবসায়ীদের তিন ট্রিলিয়নের ডলার ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যদি এখন থেকে কাজ শুরু করি, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কমিটি করবো যে আমাদের কীভাবে এগোতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।