Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৯ বছরে বজ্রপাতে প্রাণহানি ১৯৫৮

তালগাছ, হিজল গাছ দিয়ে মৃত্যু কমানো যাবে না- প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:৩৪ পিএম

২০১১ থেকে ২০১৯ এর নভেম্বর পর্যন্ত এই নয় বছরে দেশে বজ্রপাতে প্রাণহানি হয়েছে এক হাজার ৯৫৮ জনের। এই হিসাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতে মারা গেছে গত বছর ৩৫৯ জন। মন্ত্রণালয় বলছে, প্রতিবছর গড়ে ২১৭ জন করে মারা যাচ্ছে বজ্রপাতে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়েও প্রতিবছর এত মানুষ মারা যায় না। বজ্রপাত সবচেয়ে বেশি হয় ভেনিজুয়েলায়। বাংলাদেশে বজ্রপাতে প্রাণহানি কমিয়ে আনতে হলে সচেতনতার বিকল্প নেই। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বজ্রপাত ঝুঁকি নিরসন ও করণীয় শিরোনামের এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব তথ্য উঠে আসে। গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মহসীন, আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নানসহ অন্যরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বজ্রপাতে প্রাণহানি কমিয়ে আনতে দেশজুড়ে তালগাছ, হিজল গাছ লাগানো হচ্ছে। কিন্তু আমি এসব গাছে আশাবাদি নই। কারণ, তালগাছ হিজল গাছ নির্দিষ্ট একটি সময়ে যেতে বড় হতে ১৫ থেকে ২০ বছর সময় লেগে যায়। আমরা কি ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করব? অ্যারেস্টর দিয়েও প্রাণহানি কমানো সম্ভব নয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো ছাড়া বজ্রপাতে প্রাণহানি কমিয়ে আনা সম্ভব নয়। আমরা একটি অ্যাপস তৈরি করতে পারি। মোবাইল অ্যাপসটি এসএমএসের মাধ্যমে সবার কাছে পাঠাতে পারি। এতে করে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে। এর মাধ্যমে মৃত্যুটা কমিয়ে আনা যাবে। জাপান ভেনিজুয়েলা ‘আর্লি ওয়ার্নিং’ এর মাধ্যমে সুফল পেয়েছে। আমাদেরও সেদিকে হাঁটতে হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, বজ্রপাতে প্রাণহানি নিয়ে নানা অসঙ্গতি রয়েছে। মৃত্যু নিয়ে অসঙ্গতি দূর করা জরুরি। বজ্রপাতে যারা মারা যাবে, তাদের সঠিক তথ্য সংরক্ষণের দাবিও জানান বক্তারা। ইউনিসেফের প্রতিনিধি মোস্তাক হোসাইন বলেন, তথ্যের সঠিকতা জরুরি। একই সঙ্গে সচেনতাও বাড়ানো জরুরি। বক্তারা বলেন, বজ্রপাতের ঝুঁকি শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি। প্রতিবছর যারা বজ্রপাতে মারা যায়, তার মধ্যে ৮০ শতাংশই কৃষক ও জেলে। প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশে বজ্রপাতের ঝুঁকি বাড়ছে বলেও জানান বক্তরা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মহসীন বলেন, নয় বছরে মোট এক হাজার ৯৫৮ জনের প্রাণহানি ঘটে বজ্রপাতে। ২০১১ সালে বজ্রপাতে মারা যায় ১৭৯ জন, তারপরে যথাক্রমে ২০১, ১৮৫, ১৭০, ১৬০, ২০৫, ৩০১, ৩৫৯ এবং ১৯৮ জন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বজ্রপাতে মৃত্যু

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ