Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুঁজিবাজারে লেনদেন ২০ মাসে সর্বনিম্ন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:০৭ পিএম

পুঁজিবাজারে সূচকের পতন চলছেই। মঙ্গলবারও (২৪ ডিসেম্বর) তার ব্যতিক্রম হয়নি। এদিন কৃত্রিমভাবে সূচককে টেনে তোলার চেষ্টা করা হলেও দিনশেষে পতন ঠেকানো যায়নি। এ নিয়ে চলতি মাসে লেনদেন হওয়া ১৬ দিনের মধ্যে ১২ দিনই বাজার ছিল নিম্নমুখী। অব্যাহত দরপতনে প্রতিদিনই পুঁজি হারাচ্ছেন সব ধরনের বিনিয়োগকারী। পাশাপাশি আর্থিক ও শেয়ার লেনদেন কমে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্রোকারেজ হাউজগুলো।

এদিকে, পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের পিছনে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট, দেশের অর্থনীতির সার্বিক প্রভাব এবং বাজার মনিটরিং জোরালো না হওয়াকে দায়ী করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, পুঁজিবাজারে যেভাবে প্রতিদিনই দরপতন হচ্ছে তার যৌক্তিক কোনো কারণ জানা নেই। তবে দেশের সার্বিক অর্থনীতি বিশেষ করে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাতের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ শেয়ারের দাম ফান্ডামেন্টালের চেয়েও কম।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ডিএসইতে সূচকের পাশাপাশি কমেছে আর্থিক ও শেয়ার লেনদেনও। দিনশেষে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এটি আগের ২০ মাসের মধ্যে একদিনে সর্বনিম্ন লেনদেন। এর আগে চলতি বছরের ২৫ মার্চ ডিএসইতে ২২৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। ওইদিনের মধ্যে মঙ্গলবার ডিএসইতে সর্বনিম্ন আর্থিক লেনদেন হয়েছে।

মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩৫৩ টি কোম্পানির ৮ কোটি ৪৯ লাখ ৯ হাজার ৩৬০ টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১২ টির, কমেছে ১৭৯ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬০ টির দাম। দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৩৯০ পয়েন্টে নেমে আসে। এটি ২০১৬ সালের ২৬ শে জুনের পর একদিন সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। এর আগে ২০১৬ সালের ২৬ জুন ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৪ হাজার ৩৮০ পয়েন্ট। এদিন ডিএসই শরিয়া সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৯৮৫ পয়েন্ট, ডিএসইএ-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৩০টি কোম্পানির ৩৮ লাখ ২৩ হাজার ৩৪২টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ১১৭ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬ টির কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিনশেষে সিএসইতে ৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে নেমে আসে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুঁজি বাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ