পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাত্র সমাজ ও দেশবাসীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ডাকসু’র সুমহান ঐতিহ্য রক্ষায় সর্বোপরি শিক্ষাঙ্গন ও দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে স্বৈরাচারী কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্যে উদাত্ত্ব আহ্বান জানিয়েছেন ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতারা। তারা বলেন, বর্তমান সরকারের পতন না হলে দেশের শিক্ষাঙ্গন, দেশ এবং দেশের মানুষ কেউই নিরাপদ থাকতে পারবেন না।
গতকাল সোমবার ডাকসুর সাবেক জিএস ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ‘৯০ এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতৃবৃন্দ আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবীব, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফ উদ্দিন আহমেদ মনি, খন্দকার লুৎফর রহমান, সালাহউদ্দিন তরুন, আসাদুর রহমান আসাদ এক যুক্ত বিবৃতিতে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগিদের উপর সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বর্বোরোচিত পৈশাচিক হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা অবিলম্বে এই হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, শত সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ছাত্র আন্দোলনের সু-মহান ঐতিহ্যের ধারক ডাকসু ভবনেই গতকাল ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্ব ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দফায় দফায় এই নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। সন্ত্রাসীদের নির্মম নিষ্ঠুর হামলায় ডাকসু ভিপি নূরসহ ২৬ জন ছাত্রকর্মী আহত হয়েছেন এবং এদের একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন রেিয়ছেন, যা খুবই উদ্বেগজনক।
সাবেক এসব ছাত্রনেতা বলেন, বিরোধী পক্ষ ও ভিন্নমতকে নিষ্ঠুরভাবে দমন-নির্মূল করার হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের অংশ হিসেবেই এই ন্যাকারজনক নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে যা গোটা জাতিকে হতবম্ব ও বিস্মিত করেছে। এর আগেও একই গোষ্ঠী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলসহ অন্যান্য ভিন্ন মতাবলম্বী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর উপর্যুপুরি সন্ত্রাসী হামলা পরিচালিত হয়েছে।
তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র অঙ্গনে ভাষা-স্বাধীনতা-গণতন্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান ডাকসু ভবনে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের এই সন্ত্রাসী তাণ্ডব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডাকসু’র সুমহান ঐতিহ্যে কালিমালেপন করেছে যা ‘৭১ এর পাক-হানাদার বাহিনীর বর্বরতাকেই’ কেবল মনে করিয়ে দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রশাসন ও প্রক্টরের ন্যাক্কারজনক ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ, সকল গণতান্ত্রিক সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় বর্তমান ভিসি প্রশাসন ও প্রক্টর চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিরাপত্তা বিধান না করে ভিসি-প্রক্টর সরকারী ছাত্রসংগঠনের সন্ত্রাসীদের প্রত্যক্ষভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে দেশবাসীর কাছে নিজেদের পদের ভাবমূর্তি ও সম্মানকে কলংকিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা বিধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ও গনতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষায় ব্যর্থতার দায়ে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই দলকানা ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবী করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।