Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রি-পেইড গ্যাস মিটার ব্যবহারে সাশ্রয় এবং অযাচিত দুর্ঘটনা রোধ হয় : নসরুল হামিদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:১২ পিএম

‘প্রি-পেইড গ্যাস মিটার নিরাপদ। প্রি-পেইড মিটারে লিকেজ থাকলে গ্যাস সরবারাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে গ্যাসের সাশ্রয় হয় এবং অযাচিত দুর্ঘটনাও রোধ হয়। প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে সঠিক মাপে গ্যাস ব্যবহারের ফলে বিলও তুলনামূলকভাবে কম আসে। গ্যাস খাতের আধুনিকায়ন নিয়ে সরকার কাজ করছে। গ্যাসের অপচয় রোধ করতে হবে। বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করতেই আজকের এ আয়োজন।’- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেছেন।

আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কারওয়ান বাজারে পেট্রো সেন্টারে আয়োজিত ‘আবাসিক পর্যায়ে খোলা বাজার থেকে প্রি-পেইড মিটার ক্রয় ও স্থাপন নীতিমালা-২০১৯’ শীষর্ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘প্রি-পেইড মিটার বসাতে যারা যায়, তারা দেখেছেন, বেশিরভাগ বাসায় রাইজার থেকে চুলা পর্যন্ত লিকেজ। এটি খুবই ভয়ঙ্কর। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। শীতের কারণে অনেক জায়গায় গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ার খবর পাচ্ছি। আমরা এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যুতে বিশেষ আইনকে কাজে লাগিয়ে অনেক বেসরকারি কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে বেসরকারি খাতে প্রচুর কর্মসংস্থানের তৈরি হয়েছে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্মসচিব ড. শাহ মো. সানাউল হক। তিনি গ্যাস মিটার, আমদানি, প্রস্তুত ও বাজারজাতকরণ নিয়ে করণীয় বিষয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক এ এস এম মঞ্জুরুল কাদির।

উল্লেখ্য, সেমিনারটিতে জানানো হয়, উদ্যোক্তারা মিটার আমদানি করে বা তৈরি করে খোলা বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। আগে শুধু বিতরণ কোম্পানিগুলোই গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার বসিয়ে দিতো। ৪৩ লাখ গ্রাহকের মধ্যে মাত্র পৌনে তিন লাখের মতো গ্রাহকের প্রি-পেইড মিটার রয়েছে। সরকার নতুন করে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় আবাসিকে নতুন প্রি-পেইড মিটার ৪০ লাখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এই পরিস্থিতিতে কোনও উদ্যোক্তা গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার তৈরির কারখানা বসাতে রাজি হবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ