পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টফ রিপোর্টার : বিভ্রান্তিমূলক, মিথ্যা, মানহানিকর তথ্য প্রকাশের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর মুনতাসীর মামুনকে আগামী ২৭ জুনের মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তা না হলে মুনতাসীর মামুনসহ জনকণ্ঠ পত্রিকার প্রকাশক, সম্পাদকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্প্রসারিত মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাজোটের নেতারা এ ঘোষণা দেন। এর আগে গত ২০ জুন জনকণ্ঠে প্রকাশিত এক উপ-সম্পাদকীয়তে মুনতাসীর মামুন ‘গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক জামায়াতে ইসলামীর ধর্ম সম্পাদক ছিলেন’ বলে উল্লেখ করেন।
হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর মতো একটি ধর্মীয় সংগঠনের ধর্ম সম্পাদক একজন হিন্দু লোক হবে, এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছুই না। তিনি বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে হিন্দু সমাজের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য প্রফেসর মুনতাসীর মামুনসহ দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক, প্রকাশক এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার কাজে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে হিন্দু মহাজোট আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানে সব ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকারের বিধান থাকলেও হিন্দুরা সে অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঈদের মতো দুর্গা পূজায়ও তিনদিনের সরকারি ছুটি দিতে হবে। এছাড়া জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন, মন্ত্রিপরিষদে সমহারে মন্ত্রী নিয়োগ ও ‘সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তিনি।
হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব আরও বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় নিরপেক্ষভাবে এদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছে না। তাই সংখ্যালঘুদের জন্য ‘সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কর্মকর্তা সুবাস সাহা, রিপন দে প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।