পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী

ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ভ্যাট আইন মহাসমস্যা। যদি আমাদের ব্যবসায়ীরা একটু নমনীয় হন তাহলে এটা সহজ হবে। তারা হিসাব রাখেন না ভ্যাট আইনের জন্য এটা খুবই জরুরি। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের আয়োজনে স্বপ্নপূরণের বাজেট শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ২০১৯ সালের পর যে যা চাইবে সবাই গ্যাস পাবে। যা আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাস উদ্দীন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ভাইস-চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ এবং একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী।
ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন বলেন, রাজনীতিতে সংখ্যা থাকলেও অর্থনীতি প্রবৃদ্ধিতে তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি। সবসময় বিজ্ঞজনের হাতে ছিল। এর ফলে ২০০৭ ও ২০০৯ সালে বিশ্বমন্দার প্রভাব পড়েনি। জি-সেভেন এর আমন্ত্রণ জাতির জন্য বিরাট সম্মান। এবারের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ৪ ধরা হয়েছে। এটা উচ্চাভিলাষী নয়, রাজস্ব আয় যে লক্ষ্যমাত্রা তা বাস্তবায়নযোগ্য। এর কারণ হচ্ছে ই-কমার্স, বিটিসি, পাচারকৃত অর্থ থেকে অনেক সম্পদ আহরণ করে। যারা অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করতে চায় তাদের ২০ শতাংশ দ- ঘুষ দিতে হবে। বাজেট সুন্দর হয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। তাই বাজেট যেন আরো শিল্পবান্ধব হয়।
নজিবুর রহমান বলেন, বাজেট নিয়ে আমরা উৎসাহী কারণ এটা বড় বাজেট। অর্থমন্ত্রীর বয়সের সেরা বাজেট। মূল বিষয় হচ্ছে প্রবৃদ্ধি বা টেকসই উন্নয়ন। আমরা জানি রফতানি গতিশীলতা ঋণ প্রবৃদ্ধি হলে বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য হবে।
সংলাপে জানানো হয়, অনেকের ধারণা এবারের বাজেট উচ্চাভিলাষী এবং অত্যন্ত বিশাল। বাজেট উচ্চাভিলাষী বটে তবে বাস্তবায়নযোগ্য এবং একে বিশাল বলা যায় না; এ জন্য যে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি ৬০৫ লাখ টাকার বাজেট দেশের জাতীয় জিডিপির মাত্র ১৭ শতাংশ। অনেক দেশের বার্ষিক বাজেট তাদের জিডিপির বিশ্লেষণে অনেক বড় হয়। যুক্তরাজ্যেও বাজেট তাদের জিডিপির ৪২ শতাংশ এবং আমরা যদি যুক্তরাজ্যকে অনুসরণ করি তাহলে এর আকার হওয়া উচিত ছিল ৮ লাখ ৪১ হাজার কোটি ৪৯৪ লাখ টাকা। তবে বর্তমান অবকাঠামো ও দক্ষতা বিবেচনায় সাড়ে ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়ন করা খুবই দুরূহ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।