পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এমপিওহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির বিকল্প আসছে
স্টাফ রিপোর্টার : যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি তাদের এমপিওভুক্তির জন্য বিকল্প পথ খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি নিয়ে সংসদ সদস্যদের দাবির সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে সংসদে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবারই দাবি এমপিওভুক্তি। আমরা জানি, এটা একটা বড় সমস্যা। সমস্যা থাকলেও সমাধান বের করতে হবে, আমরা নানা বিকল্প প্রস্তাব তৈরি করছি এবং কোনো না কোনো পথ আমরা বের করবোই। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য বিশ্বমানের শিক্ষা। শুধু জ্ঞান এবং প্রযুক্তি দিয়ে মাথা ভর্তি করলেই চলবে না। সেই সাথে সৎ, নিষ্ঠাবান, ভালো মানুষ তৈরি করতে হবে। দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। প্রযুক্তি শুধু ভালো কাজেই লাগে না, খারাপও করে। এই যেমন আমাদের ব্যাংকের টাকা চুরি করে নিয়ে গেলো। তাই আমাদের লক্ষ্য ভালো মানুষ ও দেশপ্রেমিক মানুষ গড়ে তোলা। জানুয়ারি মাসেই নতুন বই বিতরণ করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ৫টি নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় বই ছাপছি। সেই সঙ্গে মানসম্মত শিক্ষা দিতে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের মূল বেতনের পুরোটাই সরকারি কোষাগার থেকে পান। সেই সঙ্গে অন্যান্য সরকারি কর্মচারীর মত মহার্ঘ্যভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসবভাতা পান তারা কার জন্য চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। বর্তমানে দেশে ২৬ হাজার ৭৬টি এমপিওভুক্ত এবং পাঁচ হাজার ২৪২টি এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সর্বশেষ ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়।
বাকি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এমপিওর আওতায় আনার দাবি দীর্ঘদিনের। এ ক্ষেত্রে টাকার বরাদ্দ না থাকাকেই মূল সমস্যা বলে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী। আর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও সম্প্রতি সরাসরি বলেছেন, এ মুহূর্তে এ খাতে আর টাকা দেওয়া হবে না। গত ৭ জুন সংসদে সম্পূরক বাজেট পাসের সময় ‘ঢালাওভাবে’ এমপিওভুক্তির তদবির করায় সংসদ সদস্যদের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক তৃতীয়াংশ ‘খামোখা’ গড়ে উঠেছে।
তারপরও শনিবার বিকল্প খোঁজার আশার কথা শুনিয়ে নাহিদ সংসদকে বলেন, অর্থমন্ত্রী মত দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। সুতরাং এই পথে একটি সমাধান বের করতে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
বাজেটের ওপর আলোচনায় নাহিদ বলেন, নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করতে বিশ্বমানের শিক্ষা চাই। সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমরা চাই ভালো মানুষ, সৎ, নিষ্ঠাবান, দেশপ্রেমিক মানুষ তৈরি করতে। সেদিকেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা রিজার্ভ রাখলাম ফেডারেল ব্যাংকে। এমন প্রযুক্তি শিখালাম, সেই টাকা চুরি করে নিয়ে গেল। তাহলে শুধু প্রযুক্তি দিয়ে হবে না। নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে।
নৈতিকতার শিক্ষার কথা বলতে গিয়ে সাইফুর’স কোচিং সেন্টারেরও সমালোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের এক শিক্ষক ছিল, সাইফুর। সে শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে কোচিং ব্যবসা শুরু করলো। সে বলে, ভালো ইংরেজি শিখতে না পারলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না। এমনকি হ্যাকারও হতে পারবে না। একজন শিক্ষক বলছে, চোর হতে হবে। এই হচ্ছে অবস্থা।
হ্যাকিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটের ডামাডোলের মধ্যে দক্ষ ‘হ্যাকার তৈরির বিজ্ঞাপন’ দিয়ে সমালোচনায় পড়ে সাইফুর’স কোচিং সেন্টার। ওই বিজ্ঞাপনের শিরোনামে বলা হয়, ঊহমষরংয-এর ভুলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৬০ কোটি টাকা হ্যাকারদের হাতছাড়া!
‘চোর বানানোর বিজ্ঞাপন’ দিয়ে সাইফুরস মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে দাবি করে এর আগেও কোচিং সেন্টারটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।