পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যেকোনো মূল্যে ব্যাংকের আত্মসাৎ হওয়া টাকা উদ্ধার করতে হবে। প্রয়োজনে আসামিদের সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাংকের টাকা আদায় করতে হবে। এদের কোনো ক্ষমা নেই। দুর্নীতি খুনের চেয়েও মারাত্মক অপরাধ। দুর্নীতি মামলার আসামিরা মাটির নিচে থাকলেও তাদের খুঁজে বের করতে হবে। কারণ ব্যাংকের অর্থ জনগণের সম্পদ। ভুয়া বিলের বিপরীতে অর্থ আত্মসাৎ মামলার জামিন শুনানিতে এ মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
ভুয়া বিলের মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা থেকে অন্তত ২২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ওই শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলামের জামিন শুনানি গ্রহণ করছিলেন আদালত। পরে আমিনুল ইসলামের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দায়েরকৃত মামলাসূত্রে জানাযায়, আসামিরা একে অন্যের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল নথি তৈরি করে ভুয়া রফতানি দেখিয়ে ২৬টি রফতানি বিল ঢাকা ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখায় জমা দেন। পরে তারা ১৭টি বিলের বিপরীতে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১২৬ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে তিনটি বিলের ও চতুর্থ বিলের আংশিক মূল্যসহ ৫ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যাংকে ফেরত দেন। বাকি ১৪টি বিলের মূল্য ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৭১ টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন ৭ জনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলা করেন। মামলাটি ঢাকার মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।
মামলাটির অপর ৬ আসামি হলেন, সাইমেক্স লেদার প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব (টি এস আইয়ুব), তার স্ত্রী পরিচালক তানিয়া রহমান, ঢাকা ব্যাংকের এভিপি ও সিপিসি সুলতানা ফাহমিদা, মেসার্স এস অ্যান্ড এস এজেন্সির মালিক বিভূতি ভূষণ বালা, মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ আসাদুজ্জামান মিন্টু এবং মেসার্স সাদাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আমিনুল ইসলাম। এর মধ্যে গত ২১ মার্চ সাইমেক্স লেদারের চেয়ারম্যান টি এস আইয়ুব ও পরিচালক তানিয়া রহমানকে জামিন দেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। জামিনের বিরুদ্ধে দুদক রিভিশন আবেদন করলে গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত তাদের জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। হাইকোর্ট বলেছেন, ‘এই দুজনকে জামিন দেয়া ঠিক হয়নি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের।’
হাইকোর্টে সরকারপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক এবং সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম। এর আগে গত ১৬ জুলাই তাকে কেনো জামিন দেয়া হবে না, তা জানাতে দুই সপ্তাহের রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আদালত আমিনুল ইসলামকে জামিন দেননি। তার জামিন প্রশ্নে জারিকৃত রুল খারিজ করে দিয়েছেন।
আসামিরা একে অন্যের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল নথি তৈরি করে ভুয়া রফতানি দেখিয়ে ২৬টি রফতানি বিল ঢাকা ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখায় জমা দেন। পরে তারা ১৭টি বিলের বিপরীতে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১২৬ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে তিনটি বিলের ও চতুর্থ বিলের আংশিক মূল্যসহ ৫ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যাংকে ফেরত দেন। বাকি ১৪টি বিলের মূল্য ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৭১ টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। ধানমন্ডি থানায় ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।