পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠক শেষে পাটকল শ্রমিকরা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাটকল শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে তিনি কথা বলবেন। তবে আন্দোলন কত তারিখ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে এটা নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। এটা নিয়ে তারা সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রীর সামনেই বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পাটকল শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীদের সংগঠন সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ। এ সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ফের অনশনের ঘোষণাও দেন তারা।
অন্যদিকে বিজয়ের মাস উপলক্ষে আন্দোলন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিতের আহŸান জানিয়েছিল পাটকল শ্রমিক লীগ। তবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নজান সুফিয়ান বলেছেন, এ সময়ের মধ্যেই শ্রমিকদের দাবি প‚রণ হবে।
রাজধানীর বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজএমসি) ভবনে পাটকল শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এসব তথ্য জানায় সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ, পাটকল শ্রমিক লীগ ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সরদার আব্দুল হামিদ বলেন, আমরা ৯ ডিসেম্বর থেকে আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছি। কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় আমাদের আন্দোলন চলমান ছিল। আমাদের ১১ দফা দাবির মধ্যে অন্তত দুইটি (২০১৫ সাল অনুযায়ী মজুরি কমিশন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা) চালু করতে হবে। আমরা ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় দিচ্ছি। এ সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২৩ ডিসেম্বর থেকে আবারও অনশন কর্মস‚চিতে যাবো।
পাটকল শ্রমিক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেন, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। তাই আন্দোলনকারীদের প্রতি আহŸান জানাবো তারা যেনো ৩১ ডিসেম্বর পর্যম্ত আন্দোলন স্থগিত রাখে। তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে।
মোতাহার হোসেনের বক্তব্য চলাকালে প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় থাকবে। আমরা ঢাকাতে অবস্থান নেব। দাবি প‚রণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না। পরে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হন পাটকল শ্রমিক লীগের কর্মীরা। এসময় আন্দোলনকারীদের অনেককে তারা লাঞ্চিতও করেন।
তবে সব পক্ষের কথা শুনে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের প‚র্ণ আস্থা আছে। তিনি শ্রমবান্ধব। আমি শ্রমিকদের দাবি প‚রণ হলেই খুলনায় যাব। শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করবো। কবে নাগাদ দাবি প‚রণ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা দুই পক্ষ দুইটা তারিখ বলেছেন। আশা করি এ সময়ের মধ্যেই দাবি প‚রণ হবে। তবে তাদের ১১ দফার এক দফা হলো- ২০১৫ সালের জুলাই মাসের গেজেট অনুযায়ী বেতন। সে অনুযায়ী ৮ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি তারা পাবেন, এটুকু বলতে পারি। এছাড়া আন্দোলন স্থগিত করায় শ্রমিকদের ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী।
এ আগে সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের মিলগুলোর সমস্যা নিরসনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শুরুর আগে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, জুলাই মাস থেকে নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে যে আন্দোলন চলছে, সে বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী একটি দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন। এখন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করা হবে। নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তাদের সাথে আলাপ করে তা জাননো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।