পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর উত্তরাস্থ দিল্লি পাবলিক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে (ডিপিএস-এসটিএস) ভারতীয় সংস্কৃতির চর্চা করায় স্কুলটির প্রধান শিক্ষক হার্শা ওয়ালকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে হাজির তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। স্কুলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ওমর সাদাত।
পরে ব্যারিস্টার অনিক আর হক বলেন, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে বাংলা ভাষা ও দেশীয় সংস্কৃতি চর্চার জন্য হাইকোর্টের রায়ে নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সেই সব নির্দেশনা অমান্য করে উত্তরায় অবস্থিত দিল্লি পাবলিক স্কুলে ভারতীয় সংস্কৃতির চর্চা ও ভারতীয় বিভিন্ন দিবস, ব্যক্তি সম্পর্কে পড়ানো হচ্ছে। এছাড়া স্কুলটির অষ্টম শ্রেণির একটি বইয়ে অশ্লীল শব্দমালা রয়েছে, যা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, শফিউল আযমসহ ১৫ জন অভিভাবকের পক্ষে ১৩ নভেম্বর স্কুলের অধ্যক্ষকে আদালত অবমাননার নোটিশ দিয়েছিলাম। নোটিশের জবাব না পেয়ে আদালত অবমাননার মামলা করি। আদালত ডিপিএস-এসটিএস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অধ্যক্ষকে তলবসহ আদালত অবমনানার রুল জারি করেছেন, বলেন এ আইনজীবী।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ২৫ মে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো বাংলা ভাষা ও দেশীয় সংস্কৃতি চর্চার ওপর জোর দিতে রায় দেন হাইকোর্ট। এছাড়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসসহ সব জাতীয় দিবসসমূহ যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। জাতীয় দিবসসমূহ যথাযথ মর্যাদায় পালনের পাশাপাশি দেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী রবীন্দ্র-নজরুল, বঙ্গবন্ধুসহ স্বাধীনতায় আত্মদানকারীদের জীবনী নিয়েও অনুষ্ঠান করতে বলা হয় রায়ে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।