পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সরকার দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ব্রাক ইন মিলনায়তনে এমবিএ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘বাজেট ২০১৬-১৭ পর্যালোচনা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, জনগণ থেকে সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা খুব ভালো করে জানেন, যেকোনো নির্বাচন যদি অবাধ ও সুষ্ঠু হয় তারা আর কোনোদিনই ক্ষমতায় আসতে পারবেন না বা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন না। সেজন্য আজকে বিভিন্ন কৌশলে বিভিন্নভাবে শক্তি দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তারা ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চাইছে। আজকে যে অবস্থা বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছে, শুধু অর্থনৈতিক নৈরাজ্য নয়, একই সঙ্গে সামাজিক নৈরাজ্য ও রাজনৈতিক নৈরাজ্য যা বাংলাদেশকে অতি দ্রুত রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সকলকে ‘ঐক্যবদ্ধ’ হওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল। প্রতিটি ক্ষেত্রের জনগণকে সচেতন করে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি আমাদের এক হয়ে মোকাবিলা করতে হবে। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংসদে উপস্থাপিত বাজেটের ওপর পর্যালোচনামূলক একটি চিত্রসহ সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।
গত ২ জুন সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন। আগামী ৩০ জুন জাতীয় সংসদে এই বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই বাজেট কারা দিচ্ছে, যাদের জনগণের কোনো ম্যান্ডেটই নেই। বিগত নির্বাচনে একটা প্রহসনের নাটক করে তারা জোর করে ক্ষমতায় দখল করে বসে আছে। আমাদের অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, এই বাজেটের সঙ্গে জনগনের কোনো সম্পর্ক নেই, অর্থাৎ জনগণের কল্যাণের কোনো কথা নেই। যা কিছু আছে, তাদের এই অনৈতিক অবৈধ শাসনকে আরো পাকাপোক্ত করবার জন্য যতকিছু লুণ্ঠন করা দরকার, সেই লুণ্ঠনের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে।
বাজেটে প্রস্তাবিত কর আরোপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই বাজেটে কর আরোপ করা হয়েছে সাধারণ জনগণের উপরে। এই বর্ধিত বাজেটের অর্থ জোগান দেয়ার জন্য যে কর আদায় করা হবে সেখানে বলা হচ্ছে প্রতি ব্যক্তির মাথাপিছু কর দিতে হবে ১৫ হাজার ১৭২ টাকা। বাজেটের আগে আলোচনা করলেও ব্যবসায়ীসহ উৎপাদনকারীদের কোনো পরামর্শ অর্থমন্ত্রী না রাখায় এর সমালোচনা করেন তিনি। যারা অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত উৎপাদনকারী, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী বা অন্যান্য যারা স্টেকহোল্ডার আছেন, তাদের কারো কথা অর্থমন্ত্রী রাখেন নেই। নির্দেশটা যেখান থেকে এসেছে, যেভাবে হউক এটাকে বাড়তি দেখাতে হবে, আর কতগুলো গোয়েবসীয় কায়দায় দলের মধ্যে প্রচার করতে হবে, বাংলাদেশের অর্থনীতি দারুণভাবে শনে শনে উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে। যোগাযোগ অবকাঠামোর নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধির সমালোচনাও করে অর্থনীতি বিভাগের সাবেক এই শিক্ষক। ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে সড়ক নির্মানের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে খরচ হয় ২৮ কোটি টাকা, চার লেনে উন্নীত করতে খরচ হয় ২০ কোটি টাকা আর আমাদের দেশে এই খরচের পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ১৮০ কোটি টাকা। এই থেকে বোঝা যায়, কীভাবে এই টাকাগুলোকে লুণ্ঠন করা হচ্ছে? এদেশের মানুষের কষ্টে অর্জিত আয় থেকে তাদের কর কেটে নেয়া হচ্ছে।
এমবিএ অ্যাসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ, অগ্রনী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসের বখতিয়ার আহমেদ, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, এমবিএ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।