পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : গোড়ান চটবাড়ীর সেই অকেজো পাম্পটি এখনও মেরামত হয়নি। কেউ বলছেন অর্থ সঙ্কটের কারণে এটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার অনেকে বলছেন, উদ্যোগের অভাবেই এই বেহাল দশা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অকেজো হয়ে থাকা পাম্পটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে এই পাম্পটি অকেজো হয়ে আছে।
এছাড়াও গোড়ান চটবাড়ী এক নম্বর পাম্প হাউজে অপর একটি পাম্পের কার্যক্ষমতা অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে দুই নম্বর ইউনিটের তিনটি এবং এক নম্বর ইউনিটের একটি মোট চারটি পাম্প দিয়ে এখন ঢাকার বৃহত্তর একটি অংশকে বন্যা ও জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
গোড়ান চটবাড়ীতে অকেজো হওয়া পাম্পটি ইতোপূর্বে একবার মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। এজন্য চীনের কেএসবি নামক যে প্রতিষ্ঠাটি ১৯৯৮ সালে এই পাম্প হাউজ স্থাপন করেছিল, ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান থেকে পাউবো’কে জানানো হয় যে, কী কারণে এই পাম্পটি অকেজো হয়েছেÑশুধু এর কারণ নির্ণয় করতেই তাদেরকে দিতে হবে প্রায় দুই কোটি টাকা।
চায়না প্রতিষ্ঠানের এমন প্রস্তাবনার আলোকে পাউবো একটি নতুন পাম্প মেশিন ক্রয়ের প্রস্তাব করে এবং সে মোতাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর এর ডিপিপি পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনে। ওই ডিপিপি’তে নতুন পাম্প ক্রয়ের জন্য ১১ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়।
এই প্রস্তাবনার সাথে দ্বিমত প্রকাশ করে পরিকল্পনা কমিশন থেকে পাউবো’কে জানিয়ে দেয়া হয় যে, অকেজো পাম্পটি ব্যপারে সিদ্ধান্ত না নিয়ে নতুন পাম্প ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে অকেজো পাম্পটিকে পরিত্যক্ত ঘোষনা করার কথা বলা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে পাউবো থেকে পরিকল্পনা কমিশনকে জানানো হয় যে, তারা অকেজো পাম্পটি প্রয়োজনে মেরামতের উদ্যোগ নেবে; কিন্ত তাদেও পক্ষে এই পাম্পটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা ঠিক হবে না।
এরই আলোকে পাউবো দেশী-বিদেশী প্রকৌশলীদের সহায়তায় এই পাম্পটি মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্ত অর্থের অভাবে আটকে আছে অকেজো পাম্পটি মেরামতের উদ্যোগ। বরং অতিরিক্ত চাপের কারণে এবং পুরানো হয়ে যাওয়ায় এক নম্বর ইউনিটের অপর একটি পাম্পের কার্যক্ষমতা অর্ধেকে নেমে এসেছে এবং যেভাবে অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে হচ্ছে, তাতে করে এক নম্বর ইউনিটের ভাল পাম্পটিও যে কোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এদিকে, গোড়ান চটবাড়ীতে দুই নম্বর ইউনিটটি স্থাপন করা হয় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে। প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই পাম্প হাউজটি নির্মাণসহ এখানে তিনটি পাম্প স্থাপন করা হয়। এই তিনটি পাম্পের পানি পাম্প করার সন্মিলিত ক্ষমতা ২৫৯ কিউসেক। এছাড়াও এখানে ১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও তিনটি পাম্প স্থাপনের কাজ চলছে। তিন নম্বও এই ইউনিটটি চালু হবে ২০১৯ সাল নাগাদ।
মূলত ইলেভেটর এক্সপ্রেস ওয়ের অর্থায়নে তিন নম্বর পাম্প হাউজটি স্থাপনের কাজ চলছে। পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের নির্দেশে পাউবো গোড়ান চটবাড়ী থেকে ৪০ একর জমি ইলেভেটর এক্সপ্রেস ওয়েকে বরাদ্দ দেয়। বিনিময়ে তারা এই ইউনিটটি নির্মাণের সমুদয় ব্যয় বহন করতে রাজি হয়।
তবে পাউবো জানায়, এখানে ইলেভেটর এক্সপ্রেস ওয়ে হলে যে চাপ পড়বে তাতে করে পাম্পের সংখ্যা বৃদ্ধি করাটা অত্যাবশ্যক। অন্যথায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, মিরপুর সহ বিশাল একটি এলাকায় বন্যা ও জলাবদ্ধতা হওয়ায় আশঙ্কা থেকে যাবে।
উল্লেখ্য, গোড়ান চটবাড়ীতে স্থাপিত পাম্পগুলো দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট এরিয়া, উত্তরা, এয়ারপোর্ট ও মিরপুর সহ ঢাকার একটি বড় অংশকে রক্ষায় বাঁধের ভেতরে পানির উচ্চতা ৪ মিটারের ওপরে গেলেই পাম্প করে পানি তুরাগ নদীতে ফেলা হয়।
এদিকে, ঢাকাকে রক্ষায় পাউবো’র পাম্পের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে এখন দুদকের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন এই প্রস্তাবনার সাথে জড়িত কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যেই দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন ‘গোড়ান চটবাড়ীতে ভালো পাম্পকে অকেজো দেখিয়ে ১১ কোটি টাকা চেষ্টা করা হলো।’ পাউবো থেকে এ সংক্রান্ত নথি ইতোমধ্যে দুদকে পাঠানোও হয়েছে।
তবে দুদকের এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পাউবো’র একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, যে ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদনই করেনি, সেখানে কীভাবে দুর্নীতি হলো তা বোধগম্য নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।