Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষিই এ দেশের অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৯:২৪ পিএম

‘পুষ্টির অন্যতম প্রধান উৎস হলো মাঝ, মাংস, দুধ ডিম। আমাদের মাথাপিছু যে আয় তা দিয়ে সবার পক্ষে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা সম্ভব নয়। মাথাপিছু আয় বাড়াতে হলে কৃষিকে আধুনিক কৃষিতে নিয়ে যেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে, পাশাপাশি উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। কৃষিই এ দেশের কৃষ্টি। কৃষিই এ দেশের অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার।’- কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেছেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিগত দশকে পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। দুধ, মাছ, মাংস ও ডিমের উৎপাদনও বেড়েছে। একসময় বাংলাদেশের বাজেটের ১৫-২০ শতাংশ বিদেশি সাহায্য নির্ভর ছিল, বর্তমানে তা ২ শতাংশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে পুষ্টিমানের বিষয়টি আগে আসে। আমাদের প্রতিনিয়ত আমিষের চাহিদা মেটাতে দুধ, মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে সফলতা এসেছে। আমরা মাঠের কর্মিদের কঠোর পরিশ্রমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করবো। উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা অর্জন করবো।

আজ বুধবার খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটউশনের কনভেনশন হলে ক্লাইমেট স্মার্ট অব এগ্রিকালচার ইনভেস্টমেন্ট প্লান (সিএসএআইপি) অ্যান্ড লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট (এলডিডিপি) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে রোল মডেল, দুধ উৎপাদন ৯ মিলিয়ন টন মাংস উৎপাদনেও এসেছে সফলতা। দেশের দক্ষ কৃষিবিজ্ঞানীদের অদম্য চেষ্টার ফলে লবণাক্ততা সহিষ্ণু, খরা-বন্যা সহিষ্ণু, সময় নিরপেক্ষ ও স্বল্পকালীন উন্নতজাতের কিছু ফসলের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সবার আগে পড়ে শস্য জাতীয় ফসল, মাছ ও প্রাণিজ সম্পদ খাতে। এসব খাতে ব্যাপক সাফল্য আসলেও যেকোনো সময় তা ম্লান হতে পারে। এমডিজি'র অধিকাংশ লক্ষ্য অর্জন করেছি ঠিক একইভাবে এসডিজিও অর্জন করবো। বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান ২১০০ গহণ করেছে যার ফলে জলবায়ু জনিত সমস্যা মোকাবেলায় সক্ষম হবে।

ড. রাজ্জাক বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবনাক্ততা ঘুর্ণিঝড়সহ অনেক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এর ফলে উপকূলীয় এলাকায় লবনাক্ততা বাড়ছে, কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিরূপ প্রভাব পড়ে জীববৈচিত্রে। নষ্ট হয় কৃষি ও শষ্যক্ষেত।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কৃষিকে নতুন মাত্রা দিতে কোন অঞ্চলের জন্য কোন ধরনের ফসল প্রয়োজন তা চিহ্নিত করে আবাদ করতে হবে। পানির সুষ্ঠু ব্যবহার করে সেচ পানির অপচয় কমাতে হবে। প্রতিটি জেলায় উপযোগী সুনির্দিষ্ট ফসলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদেরকে শুধু বর্তমান নিয়ে থাকলে হবে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে। বিশ্ব ব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে- যা জলবায়ু পরিবর্তনজনীত সমস্যা মোকবেলায় সহায়ক হবে।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডাইরেক্টর ডানডান চেইন, সাউথ এশিয়া সাসটেনেবল ডেভলপমেন্টের রেজিওনাল ডিরেক্টর এম জন রোমি ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তৌফিক আরিফ বক্তৃতা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষিমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ