পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী ব্যুরো : সাব-স্টেশন বিকলের কারণে রাজশাহী মহানগরীতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় নেমেছিল। বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পরিস্থিতি জানতে চাইলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ একথা জানান। মন্ত্রী বলেন, নগরীর বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সাব-স্টেশন ফেইলরের কারণে এ বিপর্যয় নেমেছিল। তবে এখন কর্মকর্তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছেন।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে গোটা রাত অন্ধকারে ঢেকে থাকে পুরো মহানগরী। রাত সাড়ে ৩টার দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ এলেও তা স্থায়ী হয় মাত্র ১০ মিনিট। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না নগরীতে। দুপুরের পর থেকে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে পিডিবি। তবে সন্ধ্যার পরও রাত ১০টা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বিদ্যুৎ সরবরাহ আসা যাওয়ার মাঝে নগরবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। রাজশাহী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ওয়াজেদ আলী বিকেলে বলেন, বুধবার ইফতারের আগে কাটাখালি গ্রিডের পাশে বজ্রপাত হয়। এতে ডিপ ইনস্যুলেটর ও পোর্টেনশিয়াল ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়ে পুড়ে যায়। প্রধান ওই ট্রান্সফরমারটি দিয়েই গোটা রাজশাহীর বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। কিন্তু সেটি পুড়ে যাওয়ায় গোটা রাজশাহীর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ‘এখনও কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হচ্ছে। তবে ঠিক কতক্ষণ নাগাদ গোটা মহানগরীতে বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে তা বলা যাচ্ছে না।’
এর ফলে রমজান মাসে স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে গোটা রাজশাহী নগরীর মানুষ। এজন্য বুধবার ইফতারে মাগরিবের আজানও শোনা যায়নি বেশির ভাগ এলাকায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্ধ ছিল রাজশাহীর সব ধরনের কলকারখানা।
বিদ্যুৎ সংকটের কারণে ঈদের বাজারে কেনাকাটাও লাটে উঠেছে। রাজশাহী থেকে কেবল দু’টি সংবাদপত্র প্রকাশিত হয় বৃহস্পতিবার। বিদ্যুতের অভাবে এখনও থমকে আছে সব ধরনের কার্যক্রম। অফিস আদালত, ব্যাংক-বিমা কোম্পানিগুলোতেও বিপর্যয় নেমে আসে। চার্জ দিতে না পারায় অতি প্রয়োজনীয় মোবাইল ফোনও বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে অফিসিয়াল কাজের ল্যাপটপটিও। টানা ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় বন্ধ আছে কম্পিউটার, ফটোকপিসহ বিভিন্ন দোকানপাটের কার্যক্রম।
দুপুর দেড়টার পর বিদ্যুৎ আসে নগরীর শালবাগান, আসাম কলোনিসহ কিছু এলাকায়। রাজশাহী মহানগরীর আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন জানান, কোনো ঝড়-ঝাপ্টা নেই। সামান্য এক পশলা বৃষ্টির পর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তীব্র গরমে ও অন্ধকারে দোকানপাট বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।