পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মংলা সংবাদদাতা : ভারতের এক্সটার্নাল এফেয়ার্স বিভাগের যুগ্ম সচিব অজিত গুপ্ত নেত্বেত্ব ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মংলা ও খুলনার বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মংলা-খুলনা রেললাইন প্রকল্প, রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় ভারতীয় এক্সটার্নাল এফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের উপসচিব প্রেম কে নায়ার, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মকর্তা দেবাঞ্জন রায়, প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মকবুল হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, ইরকনের প্রতিনিধি একে সিনহা এবং প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধি অরুন শর্মা, অজয় রাহা ও সানি উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে ভারতের এক্সটার্নাল এফেয়ার্স বিভাগের যুগ্ম সচিব অজিত গুপ্ত কাছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব ও বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের ক্ষতির বিষয়টি জানতে চাইলে জানান, রামপালে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে স্থাপন করছে। এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনকে কেন্দ্র করে এদেশের ভালমন্দ সব কিছু বাংলাদেশ সরকার দেখভাল করবে। এখানে তাদের কোন হাত নেই। তবে তারাও চান বিশ্বের একমাত্র ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি না করেই দেশের শিল্পায়ন ও অগ্রগতির জন্য পাওয়ার প্লান্ট নির্মিত হোক। তিনি জানান, তার নেতৃত্বে ভারতীয় ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রথমে খুলনার লবণচরা এলাকায় রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু নির্মাণকাজ, রামপালের সাপমারীতে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মংলায় রেললাইন প্রকল্প এবং বটিয়াঘাটার মাথাভাঙ্গা, রামপাল ও মংলায় পৃথক তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছেন।
অজিত গুপ্ত আরও জানান, আগামী তিন মাসের মধ্যে মংলা-খুলনা রেললাইনের মূল নির্মাণ কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের অধিগ্রহণের জমি হস্তান্তর করা হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই এই রেল লাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ অর্থায়নে মংলা-খুলনা ৮৬ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই এ প্রকল্পের রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া ২১টি ছোট সেতু ও ১১০টি কালভার্ট নির্মিত হবে।
খুলনার ফুলতলা থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত সংযুক্ত এ রেললাইনে ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, কাটাখালী, চুলকাঠি, ভাগা, দিগরাজ ও মংলাসহ আটটি স্টেশনের যাত্রীরা সেবা পাবেন। প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে সিইজি নিপ্পন কোয়ি জেভি নামক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।