পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০৩০ এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আর মাত্র এক দশক বাকী আছে। আমরা আমাদের যুব সমাজ, পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমাদের পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে পেয়ে ছিলাম একটি বাসযোগ্য সুন্দর পৃথিবী।এখন আমাদের তথা সারা বিশ্বের মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে আজ এবং আগামীর জন্য আরও সুন্দর, আরও স্বপ্নময় একটি সুন্দর পৃথিবী রেখে যাওয়া। এ কাজটি করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে সকল দেশ ভিত্তিক সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করা ও প্রত্যেক দেশের নাগরিকদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতে অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বিশ্ব গঠন করতে হবে। এর জন্য সকল প্রকার সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সকল প্রকার ভৌত ও অভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটাতে হবে। মানুষের মধ্যে আশা ও বিশ্বাস জাগ্রত করতে হবে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর জন্য খাতওয়ারী চাহিদা ভিত্তিক অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) ৩ দিন ব্যাপী বুসান ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ ফোরাম ২০১৯ ও “কার্যকর উন্নয়ন সহায়তার লক্ষ্যে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক ১৮তম স্টিয়ারিং কমিটির সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল কো-চেয়ার হিসাবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাননীয় অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, প্রত্যেক দেশের নিজস্ব যে সম্পদ আছে তা থেকে সুবিধা নেয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রকার অন্তরায় সৃষ্টি উচিৎ নয়। বাংলাদেশের সম্পদ হলো এর বিপুল কর্মঠ জনগোষ্ঠী। এ জনশক্তির দেশে বিদেশে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে এবং সেক্ষেত্রে কোন প্রকার বাধা দেয়া যাবে না। নজর দিতে হবে কোন দেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া অস্বাভাবিক সমস্যা সমাধানের দিকেও। যেমন বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর সাথে যুক্ত হওয়া মায়ানমার থেকে আগত এক মিলিয়নের মত যে রোহিঙ্গা আছে তাদের সমস্যার আশু সমাধান করতে হবে। এছাড়া তুরস্ক, জর্ডান ও ফিলিস্তিনের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের উৎপাদিত পণ্য চলাচলে অহেতুক বাঁধা সৃষ্টি করা যাবে না। পরিবেশের বিপর্যয়ের হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এজন্য বেশী পরিমাণে কার্বন নিঃশরনকারী দেশেগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মানব সৃষ্ট বাণিজ্য বাধাঁ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো সমস্যা মানুষই পারবে সমাধান করতে। এ সকল সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে প্রত্যেক দেশ তথা বিশ্ব লাভবান হবে। আমরা আজ এবং আগামীর জন্য আরও সুন্দর নিরাপদ পৃথিবী নিশ্চিত করে যেতে পারবো।
সুন্দর ও নিরাপদ পৃথিবী নিশ্চিত করণের লক্ষ্য অর্জনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সকলের জোরালো অংশগ্রহণের উপর গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন সহায়তার প্রায়োগিক নীতি নির্ধারনে রাজনৈতিক সদিচ্ছার সাথে সাথে উন্নয়ন সহায়তা প্রদানকারী ও সহায়তা গ্রহনকারী সকলের কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।