পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : প্রস্তাবিত বাজেটে রড তৈরির কাঁচামাল বিলেট আমদানিতে শুল্ক আরোপ করায় খাতটি ধ্বংসের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন শিল্প মালিকরা। তারা বলছেন, এমন নীতি শিল্পবান্ধব নয়। অনেক ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি হাজার হাজার শ্রমিক কর্মসংস্থান হারাবে বলেও আশঙ্কা তাদের। এমডিজি অর্জনের পর চোখ এখন এসডিজি বাস্তবায়নে। সেই লক্ষ্যমাত্রায় দেশ যখন হাঁটছে শিল্পায়নের পথে তখন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত উচ্চভিলাষী বাজেটকে এই পথে প্রতিবন্ধক দেখছেন ইস্পাত ও স্টিল মিল ব্যবসায়ীরা। প্রস্তাবিত বাজেটে বিলেট আমদানিতে টনপ্রতি ২০ শতাংশ হারে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। প্রস্তাবনা আছে এর ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপেরও। এমন হলে সব মিলিয়ে রড তৈরির এই কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় বাড়বে দ্বিগুণ।
তাই ব্যবসায়ীরা বলছেন- এই বাজেট শিল্পবান্ধব নয়। আমদানি করা বিলেটের ওপর নির্ভর করে টিকে আছে শিল্পের একাধিক খাত। তাই এই শুল্ক বৃদ্ধিতে ইস্পাত শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই অভিমত ব্যবসায়ীদের। তারা জানান- দেশে রডের বার্ষিক চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ক্ষমতা বেশি হলেও, বেশিরভাগ মিলই এখনও রড উৎপাদন করে সনাতন পদ্ধতিতে। সেখানে এই বাড়তি শুল্ক এই খাতের বিকাশ ও বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করবে। ব্যবসায়িদের প্রত্যাশা, শুধু রাজস্ব আয় নয়; সরকার রাজস্ব খাতে এমন ভাবে সংস্কার করবে যাতে সুরক্ষা হবে স্থানীয় শিল্পের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।