পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই থেকে নভেম্বর) প্রবাসীরা দেশে ৭৬৫ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এটি বাংলাদেশি মুদ্রায় (১ ডলার ৮৫ টাকা হিসেবে) ৬৫ হাজার ১০৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বিলিয়ন হিসাবে এর পরিমাণ ৭ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের মধ্যে জুলাইয়ে ১৫৯ কোটি ৭৭ লাখ, আগস্টে ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৪৬ কোটি ৮৪ লাখ, অক্টোবরে ১৬৩ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন এবং নভেম্বর ১৪৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৩১ কোটি ৭০ লাখ ডলার, আগস্টে ১৪১ কোটি ১০ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ১১২ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১২৩ কোটি ৯১ লাখ ডলার এবং নভেম্বর মাসে ১১৮ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠায়। অর্থ্যাৎ গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-১৮ থেকে নভেম্বর-১৮) দেশে রেমিট্যান্সে আসার পরিমাণ ছিল ৬২৬ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের একই সময়ের (জুলাই-১৯ থেকে নভেম্বর-১৯) সময়ে দেশে রেমিট্যান্স আসে ৭৬৫ দশমিক ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে (জুলাই-১৮ থেকে জুন-১৯) পর্যন্ত সময়ে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১ হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৯ সালের প্রথম থেকেই বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ ১৫৯ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠায়। এরপর ফেব্রæয়ারিতে ১৩১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, মার্চে ১৪৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার, এপ্রিলে ১৪৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার, মে মাসে ১৭৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং জুনে ১৩৮ কোটি ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পঞ্জিকা বছর হিসাবে ২০১৮ সালে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার, ২০১৫ সালে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ডলার। অন্যদিকে, অর্থবছর হিসাবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৬৩১ কোটি মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ কোটির বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স জিডিপিতে অবদান রেখেছে ১০ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষ ১০টি দেশ হলো- যথাক্রমে সউদী আরব, আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ওমান, যুক্তরাজ্য, কাতার, ইতালি ও বাহরাইন।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।