পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে সরকারি হিসাবেই এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, নভেম্বর মাসেও ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের বছরগুলোর এই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। তারা বলছেন, এজন্যে সারাদেশে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়াই এর বড় কারণ।
স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে যারা আন্দোলন করছেন তারা বলেছেন, ডেঙ্গুর মূল উৎস এডিস মশা নিধন এবং এই রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং জেলাগুলো থেকে সিভিল সার্জনের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু রোগীর পরিসংখ্যান তৈরি করছে। সেই হিসাব অনুযায়ী এবছর এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেলো।
সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জনের। বেসরকারি বিভিন্ন সূত্রে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
ঢাকার কল্যাণপুর এলাকার বাসিন্দা পপি সওদাগর সম্প্রতি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলছেন, এখনও যে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, সেটা তাকে উদ্বিগ্ন করছে। আগের বছরগুলোর এই সময়ের তুলনায় এখন ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকে বেশি বলে কর্মকর্তারা বলছেন। জুলাই-আগষ্ট মাসে এবার সারাদেশেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমের পর অক্টোবর-নভেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসে। কিন্তু আগের বছরগুলোর এই নভেম্বর মাসের সাথে তুলনা করলে এখন ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি বলে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন। বলা হচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৩ জন।
সরকারের রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলছেন, ডেঙ্গু এখন বছরজুড়েই থাকবে। “নভেম্বর পর্যন্ত কিন্তু সব বছরই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা থাকে। এবার যেটা হয়েছে, অন্যান্য বছরের এই সময়ের তুলনায় এখন আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। এগুলো বিশ্লেষণ করলে বলা যায়, সবসময়ই ডেঙ্গু কমবেশি আমাদের দেশে থাকবে। এর বড় কারণ এই ভাইরাস এবার সারাদেশে ছড়িয়েছে।”
ঢাকাসহ সারাদেশের কোথাও এখন এডিস মশা নিধনের কার্যক্রম চোখে পড়ে না। মশা নিধনের কাজ থেমে গেছে
ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে সারাদেশে মানুষের মাঝে যখন ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল, তখন এর উৎস এডিস মশা নিধনে ঢাকার সিটি করপোরেশনগুলো এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর কর্মকান্ড দেখা গেছে।
কিন্তু সেসব কর্মকান্ড এখন আর চোখে পড়ে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাশার বলছেন, মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে এখন কর্তৃপক্ষ সেভাবে নজর দিচ্ছে না। “যেহেতু বাংলাদেশে সব সময় এডিস মশা থাকার পরিবেশ রয়েছে, সে কারণে এই মশা নিধন কার্যক্রম সারাবছর অব্যাহত রাখতে হবে।”
স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী ফরিদা আকতার মনে করেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে। “ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামলাতে সরকারের কর্মকান্ডে সমন্বয়ের অভাব ছিল এবং অবহেলাও ছিল। এর সাথে অজ্ঞতাও আছে।” তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা কোনো অভিযোগই মানতে রাজি নন।
তারা বলছেন, এডিস নিয়ন্ত্রণে এবং ডেঙ্গু চিকিৎসার ব্যাপারে যথাযথ পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।