পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে এ সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিল করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ উপরোক্ত আদেশ দেন।
গতকাল খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, মো. জয়নুল আবেদীন, এ. জে. মোহাম্মদ আলী। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, সরকারপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
সুপ্রিম কোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানিকে কেন্দ্র করে গতকাল উচ্চ আদালত অঙ্গনে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সাদা পোশাকে তৎপরতা বাড়ায়। এছাড়া অতিরিক্ত পোশাকী পুলিশও নিয়োগ করা হয়।
উচ্চ আদালতের ভেতর পুলিশের কড়ানিরাপত্তা বেষ্টনী প্রসঙ্গে শুনানির শুরুতেই খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন, এসেছিলাম মামলার শুনানি করতে। কিন্তু বাইরের অবস্থা দেখে তো আমাদের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে, এটা কোনোও জঙ্গি বা মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামির বিচার।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আগের দিন সোমবার আপনারা সুপ্রিম কোর্টের সামনের গেটে এসে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন, ভাঙচুর করেছেন, মিছিল-সমাবেশ করেছেন। এজন্যই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, এটা রাজনৈতিক বিষয়। মাঠে-ময়দানের বিষয়। এখানে আনা ঠিক হবে না। মাঠে-ময়দানের বিষয় মাঠেই থাকুক।
পরে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, আমরা মামলার মেরিটে বলতে চাই না। মানবিক কারণে জামিন চাই। তিনি (খালেদা জিয়া) বয়স্ক একজন নারী, অসুস্থ হয়ে হাসাপাতালে রয়েছেন। মানবিক কারণে তার জামিন চাই।আমাদের কাছে অফিসিয়ালি কোনোও মেডিক্যাল রিপোর্ট নেই। তাই উপস্থাপন করতে পারছি না। নন-অফিসিয়াল একটি রিপোর্ট রয়েছে। তা আমরা উপস্থাপন করতে চাই না। খালেদা জিয়ার পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে দেখা করেছে। আমরাও গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে দেখা করেছি। তার কাছে মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছি। তিনি আমাদের রিপোর্ট দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল তাকে বলেছেন, আদালতের নির্দেশ ছাড়া কাউকে মেডিক্যাল রিপোর্ট দেয়া যাবে না।
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আমি ভিসিকে কিছুই বলিনি। তখন জয়নুল আবেদীন আদালতকে বলেন, আপনি চাইলে মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট তলব করতে পারেন।
পরে আদালত আগামী ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেন। প্রধান সেই সঙ্গে ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।