পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার নদীবেষ্টিত উপজেলা মেঘনায়। ওই প্রকল্পের ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে ঘাপটি মেরে ছিল প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী। টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ওই ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র মানুষের জন্য বিভিন্ন সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে বরাদ্দকৃত ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গোটা জেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মেঘনা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মসহ বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ঘিরে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মেঘনা উপজেলার আট ইউনিয়নের আটজন মাঠ সহকারী, দুইজন সুপারভাইজার ও একজন সমন্বয়কারীসহ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ১১জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
ওই প্রকল্পের সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডাকা হয়েছিল, কিন্তু ফিল্ড অফিসার মো. দুলাল মিয়া, মোখলেছুর রহমান, স্বপ্না আক্তার ও কম্পিউটার অপারেটর-কাম-অফিস সহকারী রাসেদুল ইসলাম তাদের কাছে থাকা অর্থের সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়। পরে গত ১৬ জুন ফিল্ড অফিসার দুলাল মিয়ার কাছে প্রকল্পের টাকা চাওয়া হলে তিনি লোকজন নিয়ে স্থানীয় একটি বাজারে আমার উপর হামলা চালান। এ সময় আমার মোটর সাইকেলটিও ছিনিয়ে নেয়। তারা পরিকল্পিতভাবেই সংঘবদ্ধ হয়ে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেছে।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন আক্তার সুমী গতকাল বুধবার দুপুরে বলেন, ‘মেঘনা উপজেলার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে অনিয়ম, ঠিকমত হিসাব সমন্বয় না করা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ওই প্রকল্পের ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং আত্মসাৎকৃত ৩০ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রকল্পের অডিট কার্যক্রম চলছে, বাকি টাকা উদ্ধারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।