পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক ঃ যুক্তরাজ্য যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে যায়, নিশ্চিতভাবেই তখন ইউরোপের অর্থনীতিতে চরম গোলযোগের সৃষ্টি হবে। চীনসহ এশিয়ার দেশগুলোও এর প্রভাব এড়িয়ে যেতে পারবে না। অর্থনৈতিক গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিট হলে এশিয়ার দেশগুলো সমন্বিতভাবে জিডিপির দশমিক ২ শতাংশ হারাবে।
ব্রেক্সিট হলে বিশ্ব অর্থনীতি কতটুকু মন্দ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে, তার এক হিসাব দেখিয়েছে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোস্যাল রিসার্চ। সংস্থাটি থেকে নেয়া তথ্যের মাধ্যমে ক্যাপিটাল ইকোনমিকস জানিয়েছে, ব্রেক্সিটের দুই বছরের মধ্যে পুরো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সামগ্রিকভাবে ব্রিটেনের আমদানি ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের এশিয়া বিভাগের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল মার্টিন জানান, এশিয়ার দেশগুলোর জিডিপির দশমিক ৭ শতাংশ যুক্তরাজ্যে পণ্যদ্রব্য রফতানির ওপর নির্ভর করে। ফলে ব্রেক্সিটের কারণে যুক্তরাজ্যের ২৫ শতাংশ আমদানি কমে যায়, তাহলে তা অবশ্যই এশিয়ার ওপরও প্রভাব ফেলবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণে এশিয়া তার জিডিপির দশমিক ২ শতাংশ হারাবে। এর মধ্যে এশিয়ার নির্দিষ্ট কিছু দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে। কলম্বিয়া, ভিয়েতনাম ও বিশেষ করে হংকং উল্লেখযোগ্য। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এ দেশগুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক খুবই মজবুত। হংকং যুক্তরাজ্যে যে সেবা রফতানি করে থাকে, তার ওপর দেশটির জিডিপির ২ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ভর করে।
তবে এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো ব্রেক্সিটের কারণে কিছুটা হলেও কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ মার্টিন মনে করেন, এ অঞ্চলের ঝুঁকি অন্য কোথাও। চীনের অর্থনীতিতে মারাত্মক শ্লথগতি ও কিছু দেশের মাত্রাতিরিক্ত ঋণভার এশিয়ার উদীয়মান দেশগুলোর জন্য হুমকিস্বরূপ।
পৃথক আরেকটি গবেষণাপত্রে ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনও ব্রেক্সিটের প্রভাব এড়িয়ে যেতে পারবে না। চীন যে পরিমাণ পণ্য যুক্তরাজ্যে রফতানি করে থাকে, তা দেশটির জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ। চীনা অর্থনীতিবিদ চ্যাং লিউ ও জুলিয়ান ইভানস-প্রিচার্ড এ প্রসঙ্গে জানান, আর্থিক বাজারে ব্রেক্সিট-পরবর্তী প্রভাবের ক্ষেত্রে চীন বেশ সুবিধাজনক অবস্থানেই রয়েছে। কারণ দেশটির পুঁজি বাজার বেশ রক্ষণশীল। গোটা বিশ্বের সঙ্গে চীনের আর্থিক খাতের যোগসূত্র খুবই সীমিত। এছাড়া দেশটির রয়েছে বিদেশী মুদ্রার সুবিশাল রিজার্ভ। এতে করে দেশটির কর্তৃপক্ষ নতুন করে সৃষ্ট যেকোনো চাপেও স্থানীয় মুদ্রাকে সহায়তা দিয়ে যেতে পারবেন। এদিকে এশিয়ার বেশির ভাগ কোম্পানি ব্রেক্সিট না হওয়ারই পক্ষে। ক্যাপিটাল গ্রুপের সিঙ্গাপুর শাখার বিনিয়োগ-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এরিক ডেলোমিয়ার জানান, যুক্তরাজ্য ইইউ ত্যাগ করলে বাণিজ্যের দিক থেকে তা এশিয়ার বেশির ভাগ দেশের জন্য নেতিবাচক হবে। সূত্র : খবর ব্লুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।