পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘খাদ্য নিরাপত্তার তিনটি পিলার। তার একটি হলো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। আজকে ধানে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের দেশে আলুর চাহিদা ৬০-৭০ লাখ টন, আমরা সেখানে ১ কোটি ১০ লাখ টন আলু উৎপাদন করি। প্রায় ৪০ লাখ টন আলু আমাদের উদ্বৃত্ত হয়। ডিম, মাছ, মাংস উৎপাদনেও আমাদের উদ্বৃত্ত আছে। আসলে আমরা উদ্বৃত্ত না, মানুষের যে পরিমাণ পুষ্টিজাতীয় খাবার দরকার, সে খাবার তারা কিনে খেতে পারে না। তাদের আয় কম। কাজেই বাংলাদেশ সরকারের চ্যালেঞ্জ হলো মানুষের আয় বাড়ানো।’- কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেছেন।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির আয়োজনে টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছি- তারুণ্যে শক্তি, তারুণ্যেই সমৃদ্ধি। এই তারুণ্যের শক্তিকে আমাদের ব্যবহার করতে হবে দুইভাবে। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে, আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তরুণদের মধ্যে অনেক সৃজনশীলতা আছে, অনেক উদ্ভাবনী শক্তি আছে। সবাইকে চাকরি দিতে হবে না। আমরা তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তার জন্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আমরা অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত এবং অন্যান্য সহযোগিতা দেবো, যাতে ভবিষ্যতে দেশ গড়ার কাজে আমরা তাদের সৃজনশীলতাকে ব্যবহার করতে পারি।
এসময় ঢাকার বায়ুদূষণ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আজকে ঢাকা নাকি বিশ্বের এক নম্বর বায়ুদূষণের শহর। এটা মোকাবিলায় আমাদের সুষ্ঠু কর্মসূচি থাকতে হবে। আমাদের যারা বিজ্ঞানী, নীতিনির্ধারক সম্মিলিতভাবে কাজ করে আমাদের ওপর যে দায় এসেছে এ থেকে আমাদের প্রজন্মকে মুক্ত করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য সত্যিকার অর্থে নিরাপদ পৃথিবী তৈরি করতে সচেষ্ট থাকতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের এটি বিবেচনায় নিয়েই, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একজন জাতীয় সমন্বয়ক নিয়োগ করা হয়েছে। একটি সেল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তারা সার্বক্ষণিকভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার (এসডিজি) ওপর কাজ করে। সব মন্ত্রণালয়ের কাজের মধ্যে যাতে পরিবেশগত ইস্যুটি সবাই বিবেচনায় নেয়, বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যাতে আমরা পরিবেশকে দূষিত না করি। আমাদের যে মিসইউজ এবং ওভারইউজ, আমাদের যে সম্পদ সেটা যেন অপচয় না হয় এবং এটিকে যেন আমরা ধ্বংস না করি। আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে চাই যে, সরকারের যথেষ্ট পরিকল্পনা আছে এই বিষয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।