পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার দেশকে অন্যের হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। গতকাল রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে এক ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, আমরা শঙ্কিত যে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব আছে কিনা। কারণ, দেশের মানুষ নির্ভয়ে নির্দ্বিধায় কোনো কাজ করতে পারে না। এই অবৈধ সরকার, অনির্বাচিত সরকার, তারা দেশ পরিচালনার নামে আজকে দেশকে অন্যের হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত।
আমি বলব, এই সরকার এমন জায়গায় গিয়েছে যে তাদের আসার পর প্রথমদিকেই ক্ষমতা অন্যের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিলো। যার জন্য আপনারা দেখেছেন, বিডিআর হত্যার ঘটনা দিয়ে সূত্রপাত হয়েছে। এই দেশের সকল মানুষকে ভয়-ভীতি-দমন এবং হত্যা করে দেশকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখবে। সেজন্য পরিকল্পিতভাবে বিজিবিকে দুর্বল করা হয়েছে। বিজিবি সীমান্তে দেশের মানুষজনকে বাঁচাতে পারছে না।
দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজেবির কর্মকা- ও সরকারের ‘নতজাুন’ পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে দেশের মানুষকে হত্যা করে যায়। একটা প্রতিবাদ করার সাহস নেই এই সরকারের। আমরা বলতে চাই, এরকম একটা দুর্বল সরকারের দ্বারা মানুষের কল্যাণ হতে পারে না।
দেশে প্রতিনিয়ত খুন-হত্যাকা- হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, প্রতিনিয়ত দেশের ভেতরে খুন হচ্ছে পুলিশের দ্বারা। অন্যদিকে সীমান্ত এলাকায় খুন হচ্ছে অন্য দেশের সিকিউরিটিদের দ্বারা। তাহলে আমরা কী বলতে পারি? বাংলাদেশ কী অবস্থায় চলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যেখানে মিয়ানমার পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। মিয়ানমারের হেলিকপ্টার বাংলাদেশের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করছে। অথচ সীমান্তে বিজিবি যে আছে, এরা অসহায়ের মতো। নিজের দেশের মানুষ হত্যা করে তারা নিজেরাই অসহায় হয়ে গেছে। আজ তাদের কোনো ক্ষমতা নেই।
দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, এই রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়, এটা পুলিশ রাষ্ট্র হয়ে গেছে। পুলিশের অধীনে সব কিছু আজকে দেশে চলছে। তারা যাকে ইচ্ছা ধরে নিয়ে যাচ্ছে, যাকে ইচ্ছা ক্রসফায়ার করছে এবং মহিলাদের পর্যন্ত পুলিশ অত্যাচার করছে।
সেখানে প্রতিবাদ করার কোনো সুযোগ নেই। পুলিশের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তার জন্য আবার তাদেরকে জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করতে হয়। দেশে আইন নেই, আদালত ও বিচার কোনোটাই নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে চিকিৎসক সমাজসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, আজ সময় এসেছে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। আমি কোন দল করি, আমি বড় দল- সেটা আমাদের কাছে বড় কথা নয়। আমাদের কাছে বড় কথা দেশকে আমরা টিকিয়ে রাখতে পারবো কিনা? সকল ধর্মের মানুষ আজ অত্যাচারিত, তাই মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান সকলকে দেশ রক্ষার জন্য, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য, নিজেদের পরিবারকে রক্ষার জন্য এক সঙ্গে কাজ করবো- এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
বিএনপির চিকিৎসক সংগঠন ‘ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব’ এর উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল হয়। এতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সহস্রাধিক শিক্ষক-চিকিৎসকরা অংশ নেন।
বক্তব্যের পর সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক মোহাম্মদ তাহির, অধ্যাপক আবদুল বায়েস ভুঁইয়া, অধ্যাপক আবদুল মবিন খান, অধ্যাপক আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক আবদুল মান্নান মিয়া, ড্যাব-এর সভাপতি অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক, মহাসচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনকে নিয়ে এক টেবিলে বসে ইফতার করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এছাড়া ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমদ, খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, বিএনপির মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের রুহুল আমিন গাজী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনয়নের এম আবদুল্লাহ, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া।
ইফতারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপক একেএম আমিনুল হক, অধ্যাপক ফিরোজ খান, অধ্যাপক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক নুর উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আখতার আহমেদ, অধ্যাপক মতিউর রহমান মোল্লা, ডা. গাজী আবদুল হক, অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ডা. রফিকুল কবির লাভলু, ডা. বজলুল গনি ভুঁইয়া, আবদুস সালাম, শহীদুল আলম, মোস্তাক রহিম স্বপন, বিএনপির আবদুল মান্নান, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, সাহাদাত হোসেন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।