পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের চার কর্মকর্তার ১৫৬ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ জন্য অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যের অনুসন্ধান টিমও গঠন করেছে সংস্থাটি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক বেনজীর আহম্মদের নেতৃত্বে এই টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের অপর সদস্য হলেন উপ-সহকারী পরিচালক শিহাব সালাম।
অভিযোগ রয়েছে, অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার সাবেক মহাব্যবস্থাপক ও বর্তমানে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মিজানুর রহমান খানসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে এই কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্র জানায়, অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় পরিচালিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিশেষ পরিদর্শনে ১৫৬ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির তথ্য উঠে আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন পর্যালোচনায় দেখা যায়, জনৈক মাহতাবের তিন প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিটিএল, মেসার্স মাহিন টেক্সটাইল ও মেসার্স পিনাকল টেক্সটাইল সুতা বিক্রি করেছে হলমার্ক গ্রুপ, প্যারাগন, নকশি ও অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে। কিন্তু এসব বিল ও কেনাবেচার কাগজপত্র ছিল সম্পূর্ণ ভুয়া। এখানে পণ্যের উৎপাদন, লেনদেন ও সরবরাহের কিছুই হয়নি। আর এরকম ভয়াবহ জালিয়াতি করা হয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার এই কর্মকর্তাদের যোগসাজশে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে আরো দেখা যায়, অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে ইস্যু করা বৈদেশিক বিনিময় বাণিজ্য ঋণের অর্পিত ক্ষমতা অনুযায়ী মহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে রফতানি ঋণপত্রের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ব্যাংকের অর্থায়ন না থাকলে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত মূল্যের স্থানীয় বিল ক্রয়ের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে শাখা কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠান তিনটির ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৫৬ কোটি টাকা প্রদান করেন। এক্ষেত্রে স্থানীয় বিল কিনে শাখার ঋণ পোর্টফোলিওকে ঝুঁকিপূর্ণ করা হয়েছে। ওই কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান খান, উপ-ব্যবস্থাপক জহরলাল রায়, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো: আবদুল আজিজ দেওয়ান ও এসপিও হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশে ডিএমডি মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পরই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে না জানিয়ে তাকে চাকরিতে ফিরিয়ে আনেন বর্তমান এমডি সৈয়দ আব্দুল হামিদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।