পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী রমজান মাসের সওম পালন করছেন মুসলিমরা। ত্যাগ, সহমর্মিতা ও আত্মোৎসর্গের এ মাসে ভ্রাতৃত্বের অনুপম নিদর্শন প্রত্যক্ষ করা যায় বিশ্বের সকল প্রান্তে। যেমন গত শনিবার কানাডার হ্যালিফ্যাক্স এলাকার ইসলামিক সেন্টারে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। আর সব স্থানের চেয়ে এখানকার ইফতার আয়োজনটি ছিল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। কারণ, এখানকার অভ্যাগতদের মধ্যে ছিলেন সিরিয়ার শরণার্থী পরিবারের সদস্যরা। অপরদিকে অতিথিদের মধ্যে ছিলেন হ্যালিফ্যাক্স এলাকার মেয়র, স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রেসিডেন্টগণ এবং ধর্মযাজকরা।
আল-হারকি পরিবার বলতে পারছেন না ঠিক কবে তারা কানাডায় এসেছেন। মনে হয় চার বা পাঁচ দিন আগে। বিমানে ঝক্কি ঝামেলার কারণে মেমোরি অনেকটা ঝাপসা হয়ে গেছে। একে তো ট্রান্স আটলান্টিক যাত্রা, অপর দিকে রমজানের ফরজ সওম পালন অনেকটাই কঠিন বা চ্যালেঞ্জিং। আহমদ আল-হারকি (২৮) তার বাবা, মা এবং ২৫ বছরের ভাইকে নিয়ে কানাডা পাড়ি জমিয়েছেন। একজন অনুবাদকের সহায়তায় তিনি বলছিলেন, আমরা জার্মানি থেকে যখন ৯ ঘণ্টার যাত্রায় টরন্টোর উদ্দেশে প্লেনে চড়লাম, চ্যালেঞ্জটা শুরু হলো তখনই। কারণ এত দীর্ঘ যাত্রায় কখনও প্লেনে ওঠা হয়নি। এরপর আর ক্ষুধা অনুভব করিনি। ভালই লাগছিল। এসময়টায় কানাডার কোথাও কোথাও ১৮ ঘণ্টার সওম পালন আরেকটি চ্যালেঞ্জ। তার পিতা আব্দুল মাওলা হারকি বলেন, দীর্ঘ সময় সওম পালন করতে হচ্ছে, কিন্তু কানাডায় অন্যান্য সুবিধার সাথে তা মানানসই। অনুবাদক জানালেন, তারা এখানে ভাল অনুভব করছেন, কারণ, শরণার্থী শিবিরের তুলনায় এখানকার আবহাওয়া অনেক ভাল। এখানে শীতল আবহাওয়া বিরাজ করছে এবং ফ্রেশ বাতাস দিনভর তাদেরকে সতেজ থাকার শক্তি যোগায়।
আল-রাসূল ইসলামিক ভবিষ্যতে এ ধরনের আরো ইফতার আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছেন। তারা প্রতি বছর আন্তঃধর্মীয় আলোচনা সভারও আয়োজন করে থাকে এবং তা অব্যাহত থাকবে। সূত্র : সিবিসি ডট সিএ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।